কলকাতা, ২৩ ডিসেম্বর- হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য সরকারের। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে কোথাও কোনও বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না রাজ্য সরকার। এই নিয়ে চলা মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না। সোমবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদ করে শুরু থেকেই সুর চড়িয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সোমবার আদালতের এই নির্দেশ স্বভাবতই বেশ খানিকটা অস্বস্তি বাড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। আদালতের নির্দেশের পরই অবস্থান স্পষ্ট করেছে রাজ্য সরকারও। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে প্রচারিত এরাজ্যে লাগু হবে না NRC, CAA. এই মর্মে দেওয়া বিজ্ঞাপন আপাতত বন্ধ করে দিচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। CAA মামলার জেরে শেষ পর্যন্ত সরে এসে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল রাজ্য। মামলায় প্রশ্ন ওঠে সরকারের পক্ষ থেকে কীভাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই ধরনের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত করা যায়। প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন সরকারি টাকায় কোনও বিজ্ঞাপন চলবে না। এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শুরু থেকেই কেন্দ্রের বিরোধিতায় একের পর তোপ দেগে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলে মোদি-শাহের সরকারকে একের পর এক সভা-মিছিলে তুলোধনা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দলীয় কর্মীদের কেন্দ্রীয় পদক্ষেপ প্রতিবাদে মিছিল, সভা করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। দলনেত্রীর নির্দেশ মেনেই ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল। একইসঙ্গে কলকাতাতেও লাগাতার আন্দোলনে সামিল থাকছেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী। মমতার একের পর এক সভা মিছিলে ক্রমশই বাড়ছে ভিড়। পশ্চিমবঙ্গে কোনওভাবেই নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি মেনে নেওয়া হবে না বলে শুরু থেকেই বলে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হচ্ছে বিজ্ঞাপন। বাংলার বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করার পাশাপাশি রাজ্যের তরফে দেওয়া বিজ্ঞাপনে জানানো হচ্ছে, বাংলায় এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। কেন্দ্রের আইনের বিরুদ্ধে কীভাবে একটি রাজ্য সরকার তা মানা হবে না বলে জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক বলেও সওয়াল করেন বিজেপি নেতৃত্ব ও একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একইসঙ্গে মমতার সমালোচনায় সরব হন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। আর/০৮:১৪/২৩ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2SkEfOq
December 23, 2019 at 09:42AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন