ঢাকা, ১২ জানুয়ারি - জাতীয় দলে তার ওপেনিং পার্টনার হয়তো তামিম ইকবাল, না হয় সৌম্য সরকার। তবে এবারের বিপিএলে রাজশাহী রয়্যালসে লিটন দাস সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুবকে। আর এই জুটি প্রায় ম্যাচেই ভালো খেলছেন। যা রাজশাহী রয়্যালসের এত ওপরে ওঠার পেছনেও রেখেছে কার্যকর অবদান। লিটন দাস মনে করেন, আফিফ হোসেন ধ্রুবর ভালো খেলা তার নিজের ব্যাটিংয়ের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। লিটনের মতে, আফিফের আক্রমণাত্মক অ্যাপ্রোচটা তাকে ফ্রি হয়ে খেলতে সাহায্য করছে। তার মূল্যায়ন, আফিফ পাওয়ার প্লে তথা প্রথম দিকে একটু আক্রমনাত্মক ঢংয়ে বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে প্রতিপক্ষ বোলিংয়ের ওপর চড়াও হয়ে খেলছে। তাতে করে তার নিজের ওপর বাড়তি স্ট্রাইকরেটে রান তোলার তাড়া গেছে কমে। এতে করে বল টু বল খেলা সহজ হয়েছে। তাই আফিফের সঙ্গ ভীষণ উপভোগ করছেন লিটন। তার প্রশংসায়ও পঞ্চমুখ এই ব্যাটসম্যান। তাই তো মুখে এমন কথা, সত্যি বলতে কি, টি-টোয়েন্টিতে একটা জিনিস আছে, তা হলো অ্যাটাক করতেই হবে। একটু মারতে হবে, ঝুঁকি নিতে হবে। এ দায়িত্বটা আফিফই নিয়েছে। প্রথম থেকেই অ্যাটাকিং খেলছে। আমি বল টু বল খেলার চেষ্টা করছি। এদিকে নিজের ব্যাটিং সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে লিটন জানালেন, তার পায়ের কাজে পরিবর্তন এসেছে। ঐ কাজে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে লিটন বলেন, ব্যাটিংয়ে আমার ফুট মুভমেন্ট একটু পরিবর্তন হয়েছে। আমি আগে এভাবে ব্যাটিং করতাম না। নেইলের সেঙ্গ অনেকদিন হলো কাজ করছি। কাজের কারণে একটু পরিবর্তন হয়েছে। ফুট মুভমেন্টের সাথে মাথার মুভমেন্ট নিয়েও কাজ করেছি। পাকিস্তান সফর নিয়ে আমি কিছু জানি না অনেকেই যেতে চাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ যেতে নারাজ। যেমন মুশফিকুর রহীম জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তান যাবেন না। আবার টেস্ট-ওয়ানডে দলে না থেকেও মাশরাফি বিন মর্তুজা জানিয়ে দিয়েছেন, দলে থাকলে পাকিস্তান যেতেন। লিটন দাস কি করবেন? তিনি তো টেস্ট, টি-টোয়েন্টি দুই দলেই আছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় প্রেস কনফারেন্সে প্রশ্ন উঠতেই লিটন দাস প্রসঙ্গটা এড়িয়েই গেলেন। ছোট্ট জবাব দিয়ে উঠে পড়লেন, আসলে আমি তো কিছু জানি না। আমি বিপিএল নিয়ে আছি। পাকিস্তান সফরের বিষয়টি আসলে বিসিবির এখতিয়ার। বিসিবিই সিদ্ধান্ত নেবে। চলতি বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের জুটিগুলো ১. মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহীম (খুলনা টাইগার্স) - ১৬৮* বনাম কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ২. মেহেদী হাসান ও মুমিনুল হক (ঢাকা প্লাটুন) - ১৫৩ বনাম খুলনা টাইগার্স ৩. আন্দ্রে ফ্লেচার ও জনসন চার্লস (সিলেট থান্ডার) - ১৫০ বনাম খুলনা টাইগার্স ৪. নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ (খুলনা টাইগার্স) - ১১৫ বনাম সিলেট থান্ডার ৫. শোয়েব মালিক ও রবি বোপারা (রাজশাহী রয়্যালস) - ১০৬ বনাম খুলনা টাইগার্স সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১২ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/39UnTlI
January 12, 2020 at 03:01AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন