ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি - দেশের দুই ভেন্যুতে এক সঙ্গে শুরু হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক প্রথম শ্রেণির এই ক্রিকেট লিগ দিয়েই হচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের জন্য জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি। আজ থেকে শুরু হওয়া বিসিএলে সবার নজর ছিল কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত টেস্ট খেলা কিংবা অন্য যাদের টেস্ট দলে ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের দিকেই। প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাটা ছিল অম্ল-মধুর। কারণ, পুরোপুরি প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স। কিছু ভালো করেছেন তো কিছু খারাপ করেছেন। ব্যাট হাতে জাতীয় দলের নিয়মিত ক্রিকেটারদের ছাড়িয়ে গেলেন বাইরে থাকা ব্যাটসম্যান ফজলে মাহমুদ। ১৬৪ বলে ১২৫ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলেছেন তিনি। এছাড়া বিসিএলের প্রথম দিনে সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি কেউ। অন্যদিকে বল হাতে চমক দেখালেন জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিত টেস্ট খেলা স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং বর্তমান সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পেসার শফিউল ইসলাম। ইস্ট জোনের হয়ে খেলছেন তিনি। সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২২ ওভারে ৮ মেডেন এবং ৫৮ রান দিয়ে একাই নেন ৫ উইকেট। অন্যদিকে নর্থ জোনের বিপক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে একাই আগুন ঝরালেন শফিউল ইসলাম। ৬ ওভার বল করে ১ মেডেন এবং ৩০ রান দিয়ে একাই ৫ উইকেট নেন তিনি। ইস্ট জোনের বিপক্ষে সেন্ট্রাল জোনের সাইফ হাসানের অবিশ্বাস্য স্লো ব্যাটিং মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হলো নাজমুল হাসান শান্তর নেতৃত্বাধীন সেন্ট্রাল জোন এবং মুমিনুল হকের নেতৃত্বাধীন ইস্ট জোন। টস জিতে ইস্ট জোন ব্যাট করতে পাঠায় সেন্ট্রাল জোনকে। ব্যাট করতে নেমে স্লো ব্যাটিংয়ের উদাহরণ সৃষ্টি করে মাত্র ২১৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় সেন্ট্রাল জোন। ২১৪ বল খেলে মাত্র ৫৮ রান করেন সাইফ হাসান। শুরুতেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে সেন্ট্রালের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং সাইফ হাসান। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৪৬ রানের জুটি। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ৪৭ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়ে যান সৌম্য। অন্যপাশে জেনুইন টেস্ট খেলার চেষ্টা করেন সাইফ হাসান। ২১৪ বল মোকাবেলা করে মাত্র ৫৮ রান সংগ্রহ করেন তিনি। উইকেটে ছিলেন ৩৩৩ মিনিট। বাউন্ডারি মেরেছেন ৫টি। ছক্কা ২টি। সাইফ হাসানকে উইকেটে রেখে একে একে আউট হন সেন্ট্রাল জোনের বাকি সব ব্যাটসম্যান। এর মাঝে ৪৬ রান করেন তাইবুর রহমান। ৩১ রান করেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। ১০ম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন সাইফ হাসান। তাইজুল ইসলাম একাই নেন ৫৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট। এছাড়া আবু জায়েদ রাহী এবং স্পিনার নাঈম হাসান নেন ২টি করে উইকেট। ১টি নেন হাসান মাহমুদ। জবাব দিতে নেমে যদিও কোনো রান করেনি ইস্ট জোন। শুন্য রাানেই মাঠ ছাড়েন তামিম ইকবাল এবং পিনাক ঘোষ। নর্থ জোনের বিপক্ষে বাজে ব্যাটিংয়ের পরও শফিউলের বোলিংয়ে শক্ত অবস্থানে সাউথ জোন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে আবদুর রাজ্জাকের সাউথ জোন এবং নাঈম ইসলামের নর্থ জোন। টস জিতে সাউথ জোনকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় নর্থ জোনের অধিনায়ক আবদুর রাজ্জাককে। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কোনো রান না করে আউট হয়ে যান শাহরিয়ার নাফীস। এনামুল হক বিজয় এবং ফজলে মাহমুদ জুটি বাধেন। ৩০ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ১০ রানে বিদায় নেন এনামুল হক বিজয়। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকলেও অন্যপ্রান্তে ব্যাট করে যান ফজলে মাহমুদ। শামসুর রহমান শুভ ২৭, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩১, নুরুল হাসান সোহান ২৬ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ২৬২ রানে অলআউট হয়ে যায় সাউথ জোন। ১২৫ রান করেন ফজলে মাহমুদ। নর্থ জোনের হয়ে ৩ উইকেট নেন সুমন খান। ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, আরিফুল হক এবং তানবির হায়দার। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ বিপদে নর্থ জোন। একা এক শফিউল ইসলামের তোপের মুখেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছে নর্থ জোন। ৪৬ রানের মাথায় ৫ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়েছে তারা। একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন শফিউল ইসলাম। প্রথম দিন শেষে সেই ৪৬ রানই করেছে নর্থ জোন। রনি তালুকদার রয়েছেন ২৬ রানে অপরাজিত। ১৬ রান করেছেন সানজামুল ইসলাম। লিটন দাস আউট হয়েছেন গোল্ডেন ডাক মেরে। গোল্ডেন ডাক মেরেছেন মিজানুর রহমানও। জুনায়েদ সিদ্দিকি এবং নাঈম ইসলামরা আউট হয়েছেন ২ রান করে। তানবির হায়দার কোনো রান না করে রয়েছেন উইকেটে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ৩১ জানুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/31k8Hus
January 31, 2020 at 04:36PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top