সিলেট, ০২ জানুয়ারি- এমন এক ম্যাচ, পরতে পরতে যার উত্তেজনা। শেষ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত সেই উত্তেজনা চলল। তবু সেই উত্তেজনা থামলো না। রানআউটে শেষতক কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স আর সিলেট থান্ডারের ম্যাচটি হলো টাই, গড়ালো সুপার ওভারে। শেষ ওভারে দরকার ১৫ রান, হাতে ২ উইকেট। আল আমিনের করা ওই ওভারের প্রথম দুই বলেই দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন নাভিন উল হক। তবে তৃতীয় বলে দুই রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান তিনি। তারপরও ম্যাচে ছিল সিলেট থান্ডার। শেষ ২ বলে দরকার ৪ রান। এবাদত হোসেন ব্যাটে লাগিয়ে নেন সিঙ্গেল। শেষ বলে দরকার ৩। ওই বলটিতে ওয়াইড দিয়ে বসেন আল আমিন। তাতেই আরও জমে ওঠে ম্যাচ। পরের বলে ডাবলস নিতে গিয়ে রানআউট হন ১০ বলে ১৬ রান করা মনির হোসেন। উইকেট স্লো। এমন উইকেটে ১৪০ রানকেও মামুলি বলার উপায় নেই। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ছুড়ে দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সেটা হারে হারেই টের পেয়েছে ঘরের মাঠের সিলেট থান্ডার। কুমিল্লার বোলারদের তোপে ৩৩ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে পড়ে সিলেট। তারপরও দলকে আশা দেখিয়ে যান সোহাগ গাজী। দারুণ ব্যাটিংয়ে সিলেটকে অনেকদূর এগিয়ে নেন। ৩১ বলে গড়া সোহাগ গাজীর ৫২ রানের (৩ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায়) ঝড়ো ইনিংসটি থামার পরই সব স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার উপক্রম সিলেটের। দলকে ১০৪ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন গাজী। তবে শেষদিকে মনির হোসেন আর নাভিন উল হক মিলে অসম্ভবকে প্রায় সম্ভব করে ফেলেছিলেন। শেষ হলো টাইয়ে। এর আগে অন্য ব্যাটসম্যানরা সেভাবে হাত খুলে খেলতে না পারলেও উপুল থারাঙ্গার ব্যাটে চড়ে ৮ উইকেটে ১৪০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লার শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। স্টিয়ান ফন জিল আর উপুল থারাঙ্গা ২৫ বলের উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে দেন ৪১ রান। এই জুটিতে অবশ্য ফন জিলের তেমন অবদান ছিল না। ১২ বলে ১০ রান করে তিনি সাজঘরে ফেরেন। কুমিল্লার বিপদ সেই শুরু। ৫ রান করেই সোহাগ গাজীর শিকার হন সৌম্য সরকার। এক প্রান্ত ধরে দারুণ খেলতে থাকা উপুল থারাঙ্গাকে ইনিংসের দশম ওভারে এসে এলবিডব্লিউ করেন এই গাজীই। ৩১ বলে ৯ বাউন্ডারির সাহায্যে লঙ্কান ওপেনার তখন ৪৫ রানে। এরপর আর কুমিল্লার কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। ইয়াসির আলী (৬ বলে ৫), ডেভিড উইজ (১২ বলে ১৫), সাব্বির রহমানরা (২৫ বলে ১৭) একে একে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে সংগ্রহটা লড়াকু হয়নি সৌম্য সরকারের দলের। সিলেটের পেসার ইবাদত হোসেন ছিলেন দলের সবচেয়ে সফল বোলার। ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন তিনি। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/০২ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ZIhaqi
January 02, 2020 at 05:53PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন