কেপটাউন, ৩১ জানুয়ারি - দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানে উড়িয়ে দিয়ে সেমি ফাইনালে ওঠার পথে বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান নিয়েছেন ১৯ রানে ৫ উইকেট, জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও। যুব বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি ৩২তম সেরা বোলিং ফিগার। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের ইয়থ ক্লাব থেকে উঠে এসেছেন বাঁ-হাতি এই স্পিনার। কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার আগে এই স্পিনারই গ্রুপ পর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। সেদিনও তিনি হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা। যুব বিশ্বকাপে নির্দিষ্ট কোনো ম্যাচে একজন বোলার ৮ উইকেট, চারজন বোলার ৭ উইকেট ও ২০ জন বোলার নিয়েছেন ৬ উইকেট করে। আর সবমিলিয়ে যুব বিশ্বকাপে রাকিবুলের ফাইফারটি ৮৪তম। বাংলাদেশের পক্ষেও যুব বিশ্বকাপে এটি প্রথম ফাইফার নয়। এর আগে আরও পাঁচজন বোলার যুব বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেট নিতে পেরেছেন। ২০০০ সালের বিশ্বকাপে নামিবিয়ার বিপক্ষে ১০ ওভারে ৪ মেইডেনের সাহায্যে মাত্র ১৫ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়েছিলেন হান্নান সরকার। টাইগার যুবাদের পক্ষে বিশ্বকাপে এটিই সেরা বোলিং ফিগার। রাকিবুলেরটি দ্বিতীয় সেরা। বিশ্বকাপে ফাইফার নেয়া অন্য চার বোলার হলেন তানভিরুল ইসলাম (১৯৯৮), নাজমুল হোসেন (২০০৪), এনামুল হোসেন জুনিয়র (২০০৪) ও আফিফ হোসেন ধ্রুব (২০১৮)। এ ছাড়াও বিশ্বকাপ বাদ দিয়ে যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব রয়েছে ১৮জন বোলারের। দুইবার করে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন শুধুমাত্র আবুল হাসান রাজু ও সঞ্জিত সাহা। বাকি ১৬ জন বোলার নিয়েছেন একবার করে পাঁচ উইকেট। এ তালিকার সবশেষ সংযোজন হলেন রাকিবুল। আবুল হাসান, সঞ্জিত ও রাকিবুল ছাড়া যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে পাঁচ উইকেট নেয়া বোলাররা হলেন নিহাদুজ্জামান, হান্নান সরকার, মেহেদি হাসান মিরাজ, শুভাশিষ রয়, সালেহ আহমেদ শাওন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তানভিরুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন, এনামুল হক জুনিয়র, আলআমিন জুনিয়র, সোহরাওয়ার্দি শুভ, নাইম হাসান, আফিফ হোসেন, শরীফুল ইসলাম ও রাহাতুল ফেরদৌস। যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিং ফিগার সঞ্জিত সাহার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে ১৯ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে যুব ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নেয়ার ঘটনা এই একটিই। বাকি ১৯বারই হয়েছে ৫ উইকেট। একটি মজার বিষয় হলো, যুব বিশ্বকাপের নির্দিষ্ট কোনো আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ডে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। ২০০৪ সালের আসরে ৮ ম্যাচে ২২টি উইকেট নিয়েছিলেন এনামুল জুনিয়র। নির্দিষ্ট কোনো আসরে এটিই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ৩১ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2S3npBB
January 31, 2020 at 02:37AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন