নয়াদিল্লী, ০৪ জানুয়ারি - ভারতের বিতর্কিত নাগরিকপঞ্জি এবং নাকরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রভাব এবার রাজনীতির মাঠ থেকে গিয়ে পড়ছে খেলার মাঠেও। আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচেই সেই প্রভাব পড়তে যাচ্ছে। রোববারই গুয়াহাটির বারসাপাড়া স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। ২০২০ সালে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছে টিম ইন্ডিয়া; কিন্তু প্রথম ম্যাচেই পোস্টার হাতে নিয়ে মাঠে যেতে পারছেন না ভারতীয় সমর্থকরা। ভারত সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপি বাড়তে থাকা ক্ষোভ এবং আন্দোলনের দাবানল যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, সে কারণেই গুয়াহাটিতে বাড়তি সতর্কতা আসা ক্রিকেট সংস্থার। সে কারণেই কোনো ধরনের পোস্টার-ফেস্টুনছাড়াই সমর্থকদের মাঠে প্রবেশ করার জন্য নির্দেশ জারি করেছে আসাম রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। এমনকি প্রিয় তারকা ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে কোনও বার্তা লেখা পোস্টার মাঠে প্রদর্শণ করতে পারবে না কেউ। শুধু তাই নয়, স্কেচ পেন, রং তুলি, মার্কার ও পেন্সিলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে গুয়াহাটি ক্রিকেট স্টেয়িামে। মাত্র তিনটি জিনিস নিয়ে মাঠে ঢুকতে পারবেন দর্শকরা। এগুলি হল মোবাইল ফোন, গাড়ির চাবি এবং মানিব্যাগ। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা পরিষ্কার জানিয়ে দেন গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার এমপি গুপ্তা। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল ছিল আসামও। কারফিউও জারি করা হয়েছিল। এমনকি ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। কারফিউ ভেঙে প্রতিবাদ করায় পুলিশ ফায়ারিংয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। এরপর পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল। পরিস্থিতি এখন কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) এবং প্রশাসন। পুলিশ কমিশনারের সুরে এসিএ সচিব জানিয়ে দেন, মাত্র তিনটি জিনিস, মোবাইল ফোন, গাড়ির চাবি ও মানিব্যাগ নিয়েই মাঠে ঢুকতে পারবে দর্শকরা। এসিএ সচিব দেবজিত শইকিয়া বলেন, ভারতীয় বোর্ডের নির্দেশেই আমরা এই ব্যবস্থা করেছি। কারণ ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে যে ঠান্ডা পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার চুক্তি ছিল, সাতদিন আগেই তা শেষ হয়ে গেছে। ফলে সংস্থার নাম ও লোগো দেওয়া কোনও চার বা ছক্কার ব্যানার নিয়ে সমর্থকরা যাতে প্রবেশ না-করে তাই এই ব্যবস্থা। রাজনৈতিক পোস্টার নিয়ে মাঠে প্রবেশ করার সম্ভাবনা কমাতেই এই পদক্ষেপ কিনা, সে প্রশ্ন এড়িয়ে যান এসিএ সচিব। তিনি বলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ নিয়ে ভয় নেই। সমর্থকেরা শান্তিতে ম্যাচ দেখতে মাঠে আসবেন। ক্রিকেটের বাইরে কোনও বার্তা পৌঁছানোর উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁরা মাঠে আসবে বলে আমি মনে করি না। আসামে অনেকদিন পর হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এ কারণে দর্শকদের মধ্যে রয়েছে তুমুল আগ্রহ। ৩৯,৪০০ দর্শকাসনের বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২৭ হাজার টিকিট ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানাচ্ছে এসিএ। তবে ম্যাচে বৃষ্টির চোখ রাঙানি রয়েছে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৪ জানুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/37yfH8Q
January 04, 2020 at 08:56AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top