লাহোর, ২৫ জানুয়ারি - পাকিস্তানের মাটিতে সচরাচর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয় না। বাংলাদেশই যেমন ১২ বছর পর খেলতে গিয়েছে পাকিস্তানে। দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে ঘিরে তাই দর্শকদের আগ্রহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। কিন্তু দর্শকরা তো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিনোদনেরই আশা করেন। এবং সে বিনোদনটা অবশ্যই ব্যাটিং নির্ভর। টি-টোয়েন্টিকে বলাই হয় ব্যাটসম্যানদের খেলা। অথচ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ছিল লো স্কোরিং এক লড়াই। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে হাতে পর্যাপ্ত উইকেট থাকার পরও ৫ উইকেটে ১৪১ রানের বেশি এগোতে পারেনি বাংলাদেশ। জবাবে পাকিস্তানও যে হেসেখেলে জিতেছে, এমন নয়। ১৪২ রান তাড়া করতে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে স্বাগতিকদের। বোঝাই যাচ্ছে, ব্যাটিংয়ের জন্য খুব সহজ ছিল না গাদ্দাফির উইকেট। এমন উইকেটে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখে হতাশ পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ইনজামাম উল হক। ম্যাচের পর ইউটিউবে এক বিশ্লেষণধর্মী আলোচনায় উইকেটের সমালোচনা করেছেন দলটির সাবেক প্রধান নির্বাচক। প্রথম টি-টোয়েন্টি নিয়ে ইনজামাম বলেন, ম্যাচটা আমার কাছে টি-টোয়েন্টির মতো লাগেনি। আরও ভালো উইকেট বানানোর অনুরোধ করছি কিউরেটরদের প্রতি। উইকেট এতটাই কঠিন ছিল যে, ১৪২ রানকেও বেশ কঠিন লক্ষ্য মনে হয়েছে। আমাদের এমন উইকেট দরকার যেখানে গড়ে ১৯০ থেকে ২০০ রান হবে। এতে আমাদের ব্যাটসম্যানরা বড় রান তাড়া করা শিখবে। আবার বোলাররাও শিখবে তক্তা উইকেটে কিভাবে ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখতে হয়। বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানেও এখন বেশ শীত। এমন কন্ডিশনে উইকেট বানানো কঠিন, সেটাও মানছেন ইনজামাম। কিন্তু চেষ্টা করলে যে ১৬০-১৭০ রানের উইকেট বানানো যাবে না, সেটাও মনে করছেন না পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। ইনজামামের ভাষায়, শীতে ভালো উইকেট বানানো কঠিন। তবে পিসিবি চেষ্টা করলে এমন উইকেট বানাতে পারে যেখানে গড়ে ১৬০ থেকে ১৭০ রান উঠবে। এমন নয় যে আমরা ২০০ রানের উইকেট চাই। তবে আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে ১৪০ রানকে কমই বলতে হবে। এমন উইকেটে আহসান আলী কিংবা হারিস রউফের মতো অভিষিক্তদের বিচার করা যায় না। কেননা বল ঠিকমতো ব্যাটে আসেনি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৫ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2vltv8V
January 25, 2020 at 06:35AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন