ঢাকা, ১১ জানুয়ারি - ম্যাচের আগে রাজশাহী রয়্যালস ছিল পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে। শীর্ষে ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মুখোমুখি লড়াইয়ে সেই টেবিল টপার চট্টগ্রামকে নাকানি চুবানি খাওয়াল রাজশাহী। কেড়ে নিল শীর্ষস্থানও। মিরপুরে লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রামকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চার থেকে এক লাফে শীর্ষে চলে এসেছে রাজশাহী। ১২ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট এখন আন্দ্রে রাসেলের দলের। সমান ম্যাচে সমান জয়ে সমান পয়েন্ট হলেও রানরেটে পিছিয়ে থাকায় চট্টগ্রাম নেমে গেছে দুইয়ে। রাজশাহীর সামনে ১৫৬ রানের জয়ের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল চট্টগ্রাম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেটিকে একেবারে মামুলি বলার উপায় নেই। কিন্তু রাজশাহীর দুই ওপেনার লিটন দাস আর আফিফ হোসেন ধ্রুব যেভাবে খেলছিলেন, মনে হচ্ছিল যেন সহজ এক লক্ষ্য। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দলকে এনে দেন ৮৮ রান। ওই জুটিতেই জয়ের ভিত গড়া হয়ে গেছে। ৩১ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ৩২ রান করে আফিফ নাসুম আহমেদের শিকার হলে ভাঙে এই জুটিটি। তবে লিটন দাস হাফসেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি এবং সেটা তার সহজাত আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে। দলের জয় তখন বলতে গেলে নিশ্চিত। ৪৮ বলে ১১ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৭৫ রান করে লিটন শেষ পর্যন্ত এলবিডব্লিউ হন জিয়াউর রহমানের বলে। বাকি কাজটা সহজেই সেরেছেন শোয়েব মালিক। ২৫ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার। এর আগে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। টস হেরে ব্যাট করতে শুরু থেকেই খোলসবন্দী হয়ে পড়েন চট্টগ্রামের বিধ্বংসী ওপেনার ক্রিস গেইল। হাত খুলে খেলতে পারেননি আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকীও। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৮ বলে ৩৮ রান। জুনায়েদ ফিরে যান ২৩ বলে ২৩ রান করে। অপরপ্রান্তে গেইল ২টি ছক্কা হাঁকালেও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারছিলেন না সেভাবে। আফিফ হোসেন ধ্রুবকে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলে আবারও বড় শট খেলার চেষ্টায় তিনি আউট হন ২১ বলে ২৩ রান করে। দলের রান তখন ৯.৪ ওভারে মাত্র ৬০ রান। বেশি কিছু করতে পারেননি ইমরুল। তার ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ১৯ রান। চ্যাডউইক ওয়ালটন সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৪ রান করে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলকে বলার মতো অবস্থানে নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ ও নুরুল সোহান। দুজনের জুটিতে ২৫ বলে আসে ৩৮ রান। দারুণ কিছু শট খেলে সোহান করেন ১৬ বলে ৩০ রান, হাঁকান ৪টি চার ও ১টি ছক্কা। শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়োকচিত ইনিংসে ২ চার ও ৩ ছয়ের মারে তিনি খেলেন ৪৮ রানের ইনিংস। শেষদিকে নেমে ২ বলে ৭ রান করেন জিয়াউর রহমান। বল হাতে ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ইরফান, আফিফ হোসেন, শোয়েব মালিক, আবু জায়েদ রাহী ও তাইজুল ইসলাম। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১১ জানুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Rbd7io
January 11, 2020 at 01:31PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top