ঢাকা, ১১ জানুয়ারি - দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে ১৬৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও জয় পায়নি রাজশাহী রয়্যালস। ইমরুল কায়েসের নৈপুণ্যে ৭ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তাই দ্বিতীয় মোকাবেলায় আগে ব্যাট করার ঝুঁকি নেয়নি রাজশাহী। টস জিতে ব্যাট করতে পাঠিয়েছে চট্টগ্রামকে। ক্রিস গেইলের অনুজ্জ্বলতা এবং ফর্মে থাকা ইমরুল কায়েসের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর আশা শেষ হয়ে যায় চট্টগ্রামের। তবু অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে টেবিল টপার দলটি। তবে রাজশাহী রয়্যালস ১৫৬ রান করে ম্যাচ জিতে নিলে আর শীর্ষে থাকা হবে না চট্টগ্রামের। তখন দুই দলের পয়েন্টই হবে সমান ১৬। কিন্তু নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় টেবিলের এক নম্বর স্থানে উঠে যাবে আন্দ্রে রাসেলের রাজশাহী। টস হেরে ব্যাট করতে শুরু থেকেই খোলসবন্দী হয়ে পড়েন চট্টগ্রামের বিধ্বংসী ওপেনার ক্রিস গেইল। হাত খুলে খেলতে পারেননি আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকীও। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৮ বলে ৩৮ রান। জুনায়েদ ফিরে যান ২৩ বলে ২৩ রান করে। অপরপ্রান্তে গেইল ২টি ছক্কা হাঁকালেও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারছিলেন না সেভাবে। আফিফ হোসেন ধ্রুবকে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলে আবারও বড় শট খেলার চেষ্টায় তিনি আউট হন ২১ বলে ২৩ রান করে। দলের রান তখন ৯.৪ ওভারে মাত্র ৬০ রান। বেশি কিছু করতে পারেননি ইমরুল। তার ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ১৯ রান। চ্যাডউইক ওয়ালটন সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৪ রান করে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দলকে বলার মতো অবস্থানে নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ ও নুরুল সোহান। দুজনের জুটিতে ২৫ বলে আসে ৩৮ রান। দারুণ কিছু শট খেলে সোহান করেন ১৬ বলে ৩০ রান, হাঁকান ৪টি চার ও ১টি ছক্কা। শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়োকচিত ইনিংসে ২ চার ও ৩ ছয়ের মারে তিনি খেলেন ৪৮ রানের ইনিংস। শেষদিকে নেমে ২ বলে ৭ রান করেন জিয়াউর রহমান। বল হাতে ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ইরফান, আফিফ হোসেন, শোয়েব মালিক, আবু জায়েদ রাহী ও তাইজুল ইসলাম। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১১ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2T9xoaS
January 11, 2020 at 01:29PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন