কেপটাউন, ০৭ জানুয়ারি- প্রাণপন লড়াই করলো স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্তত ম্যাচটা যদি শেষ করা যায়, তাতে ড্র হলেও হোক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সেই মরনপণ লড়াইও টিকলো না ইংলিশ বোলারদের সামনে। ৪৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অলআউট হতে হলো ২৪৮ রানে। ফলে কেপটাউন টেস্টে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করলো ইংল্যান্ড। একই সঙ্গে সিরিজে ১-১ সমতায় চলে আসলো তারা। এখনও দুই ম্যাচ বাকি রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড সিরিজের। ১৯৯৩ সালে ক্রিকেটে ফেরার পর কেপটাউনে এই প্রথম নতুন বছরের প্রথম কোনো টেস্ট ম্যাচ হারলো দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে ১৬টি ম্যাচ জিতেছে প্রোটিয়ারা, ৫টিতে ড্র করেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা কতটা প্রাণপন চেষ্টা করেছে, তার নমুনা দেখা যায় ফন ডার ডুসেনের ব্যাটে। ১৪০ বল মোকাবেলা করে তিনি সংগ্রহ করেছেন মাত্র ১৭ রান। অর্থ্যাৎ উইকেটের মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে টিকতে পারলেন না আর। ক্যাচ তুলে দিলেন অ্যান্ডারসনের হাতে। এমনকি ভারনন ফিল্যান্ডারও চেষ্টা করেন একইভাবে। তিনি ৫১ বল মোকাবেলা করেন রান করেন মাত্র ৮টি। তবুও পারলেন না বেন স্টোকসের তোপের মুখে। ক্যাচ তুলে দেন ওলি পোপের হাতে। দুই ওপেনার ডিন এলগার আর পিটার মালান মিলে শুরুতে ইংল্যান্ডের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছিল। এ দুজনের ব্যাটে ৭১ রানের জুটি গড়ে ওঠে। কিন্তু ৩৪ রান করে এ সময় জো ড্যানলির বলে উইকেটের পেছনে বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ডিন এলগার। এরপরই শুরু হয় প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ে ডায়রিয়া। ১৮ রান করে জুবায়ের হামজা ফিরে যান। কেশভ মাহারাজ করেন ২ রান। অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি করেন মাত্র ১৯ রান। এরই মধ্যে এই ইনিংসে প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করা পিটার মালান আউট হয়ে যান ৮৪ রান করে। লেট মিডল অর্ডারে কুইন্টন ডি কক চেষ্টা করেন ঝড় তোলার। ১০৭ বল খেলে তিনি আউট হয়ে যান ৫০ রান করে। তার আগে ইংলিশ বোলারদের বেশ ভুগিয়ে যান ডু প্লেসি আর ফন ডার ডুসেন। ৫৭ বলে ১৯ রান করে ডু প্লেসি। ১৪০ বলে ১৭ রান করেন ডুসেন। ডি কক আউট হয়ে যেতেই আশা শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। শেষ দিকে প্রোটিয়াদের লেজ মুড়ে দেন বেন স্টোকস। তিনি নেন শেষ ৩ উইকেট। ডোয়াইন প্রিটোরিয়ান ২২ বল খেলে একটি রানও করতে পারেননি। কাগিসো রাবাদা ১১ বল খেলে করেন ৩ রান। জেমস অ্যান্ডারসন, জো ড্যানলি নেন ২টি করে উইকেট। বেন স্টোকস তিনটি এবং স্টুয়ার্ট ব্রড, ডোমিনিক বেজ, স্যাম কুরান নেন ১টি করে উইকেট। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ইংল্যান্ড সংগ্রহ করে ২৬৯ রান। জবাব দিতে নেমে অ্যান্ডারসন তোপে দক্ষিণ অলআউট হয়ে যায় ২২৩ রান। অ্যান্ডারসন নেন ৫ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারে ২৮তম। ৪৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৯১ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। ফলে তাদের লিড দাঁড়ায় ৪৩৭ রান। ডোম সিবলি ১৩৩ এবং বেন স্টোকস করেন ৭২ রান। ৪৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ দিনে মাত্র ১০ ওভার বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে গেলো ২৪৮ রানে। দারুল অলরাউন্ড নৈপূণ্য দেখিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হলেন বেন স্টোকস। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/০৭ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2T4KXbt
January 07, 2020 at 07:00PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন