ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি - আগামীকাল ১৯ জানুয়ারি রোববার শুরু প্রস্তুতি। আর ২২ জানুয়ারি দল যাবে পাকিস্তানে। অথচ আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুর গড়িয়ে এলেও পাকিস্তান সফরে জাতীয় দল ঘোষণা হয়নি। অথচ নির্বাচকরা নাকি ৪৮ ঘণ্টা আগেই দল চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। তাহলে কিসের বিলম্ব? একবার শোনা গেল, গত রাতে ফাইনালের সময়ই দল ঘোষণা করা হবে; কিন্তু তা হয়নি। এখন আজও কখন হবে, সে সদুত্তর মেলেনি। তবে কেন দল ঘোষণায় বিলম্ব? সেই কারণটা অবশেষে বেরিয়ে গেছে। জানা গেছে, ইমরুল কায়েসকে নিয়ে সংশয় দেখা দেয়ায় নির্বাচকরা সময় নিচ্ছেন। এ বাঁ-হাতি টপ অর্ডারের (যদিও তিনি বিপিএলের এবারের আসরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে চারে ব্যাট করেছেন, এর অগে শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফিতেও এক ম্যাচে মিডল অর্ডারে ব্যাট করে হাফ সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন) ইনজুরি সমস্যা নিয়েই যত দুশ্চিন্তা এখন বাংলাদেশ শিবিরে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইমরুল কায়েসকে দলে নিতে আগ্রহী নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট। মাঝে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে চরমভাবে ব্যর্থ হলেও এবারের বিপিএলে দারুণ খেলেছেন ইমরুল। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে সেরা চারে টেনে তোলার বড় কৃতিত্বটা মূলতঃ তারই। নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি। তার অনুপস্থিতিতে দারুণ নেতৃত্ব দেয়া এবং ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলে একদম সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইমরুল। এবারের বিপিএলে ১৩ ম্যাচের বেশিরভাগ ম্যাচেই জ্বলে উঠেছে ইমরুলের ব্যাট। তার ইনিংসগুলো ছিল যথাক্রমে ৬১+১২+৪৪*+ ৬+৪০+৬২+১০+৫৪*+৩০*+৬৭*+১৯+৩২+৫ = মোট ১৩ ম্যাচে ৪৪২ রান। এরমধ্যে তিনটি ফিফটি। চারটিতে নট আউট। স্ট্রাইকররেট ১৩২.৩৩ করে। কিন্তু নকআউট পর্বে শেষ ম্যাচের আগে তার হঠাৎ হ্যামস্ট্রিংরয় সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেটা নিয়েই তিনি লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটি খেলেন এবং রান পাননি। হ্যামস্ট্রিয় নিয়ে খেলা ইমরুলের এবারের বিপিএলে ১৩ ইনিংসে সেটাই ছিল কম রান। এদিকে মুশফিকুর রহীম পাকিস্তান যাবেন না। সাকিব আল হাসানও নিষেধাজ্ঞার কারণে দলে নেই। তাই ইমরুলকেই দলে নিতে চান নির্বাচকরা। এখন তার দলে ফেরায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি। এখন তার ইনজুরির ধরন কি? সেটা কতটা প্রবল? তার পক্ষে কি এই হ্যামস্ট্রিং সমস্যা নিয়ে আদৌ পাকিস্তান সফরে মানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলা সম্ভব হবে কি না? এসব বিষয় ভাবাচ্ছে নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টকে। জানা গেছে, ওসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিশ্চিত হতে নির্বাচকরা স্মরণাপন্ন হয়েছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর। জানা গেছে, আজ ইমরুলের হ্যামস্ট্রিংয়ের জায়গায় স্ক্যান করা হবে। এরপর রিপোর্ট দেখে ডা. দেবাশীষ জানাবেন ইমরুল কত দিনের মধ্যে সুস্থ্য হতে পারবেন কিংবা মাঠে নামতে পারবেন? এখন ভিতরের খবর হলো ইমরুল আগামী ২৪ জানুয়ারি প্রথম ম্যাচের আগে সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে মাঠে ফিরতে পারবেন- এমন নিশ্চয়তার অপেক্ষায় নির্বাচকরা। তা পেলেই ইমরুলকে পাকিস্তান সফরের দলে নেয়া হবে। অন্যথায় নয়। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৮ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Rscy47
January 18, 2020 at 08:57AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন