ইসলামাবাদ, ২০ ফেব্রুয়ারি - পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ইনজামাম উল হকের মতে, ক্রিকেট খেলাটাকে বদলে দিয়েছেন তিনজন ব্যাটসম্যান। তাও একইসময়ে তিন ব্যাটসম্যান নন, তিন প্রজন্মের তিন খেলোয়াড়ের কথাই বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। ইনজামামের চোখে ক্রিকেটকে বদলে দেয়া সেই তিন ব্যাটসম্যান হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক স্যার ভিভ রিচার্ডস, শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক সনাৎ জয়াসুরিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক আব্রাহাম বেঞ্জামিন ডি ভিলিয়ার্স। নিজের এমন দাবির পেছনে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ইনজামাম। ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে ইনজামাম জানিয়েছেন, মূলত ব্যাটিংয়ের ধরনের কারণেই তাদেরকে আলাদা করে দেখছেন তিনি। ভিন্ন ভিন্ন সময় ও প্রেক্ষাপটে যে সাহস নিয়ে ব্যাট করেছেন ভিভ, জয়াসুরিয়া ও ডি ভিলিয়ার্সরা সেটিকেই গুরুত্ব দিয়েছেন ইনজামাম। তিনি বলেন, অনেক বছর আগে ছিলেন স্যার ভিভ রিচার্ডস। যিনি প্রথম খেলাটা বদলে দেন। তখনকার সময়ে ব্যাটসম্যানরা সবসময় ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে ব্যাকফুটে খেলতো। ঠিক তখনই ভিভ দেখিয়েছেন কীভাবে পেসারদের বিপক্ষে সামনের পায়ে খেলতে হয়। তিনি সবাইকে শিখিয়েছেন যে পেসারদের বিপক্ষেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা সম্ভব। তিনি সর্বকালের একজন গ্রেট খেলোয়াড়। ইনজামামের এই দাবী পুরোপুরি সত্যি। খেলোয়াড়ি জীবনে ১২১ টেস্ট ও ১৮৭ ওয়ানডে খেলেছেন স্যার ভিভ। এর মধ্যে টেস্টে ৫০.২৩ গড়ে করেছিলেন ৮৫৪০ রান, নামের পাশে ছিলো ২৪টি সেঞ্চুরি। আর ওয়ানডে ক্রিকেটে সেই ৮০র দশকে ৯০.২০ স্ট্রাইকরেটে খেলা ব্যাটসম্যান ছিলেন ভিভ। প্রতিপক্ষ বোলারদের ছাতু বানিয়ে ৪৭ গড়ে করেছিলেন ৬৭২১ রান, করেছিলেন ১১ সেঞ্চুরি ও ৪৫টি হাফসেঞ্চুরি। স্যার ভিভের পর ক্রিকেটকে বদলে দেয়া দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হলেন জয়াসুরিয়া। তার ব্যাপারে ইনজামাম বলেন, দ্বিতীয় পরিবর্তনটা আনেন সনাৎ জয়াসুরিয়া। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে প্রথম ১৫ ওভারেই বোলারদের আক্রমণ করবেন। জয়াসুরিয়া আসার আগে মারকাটারি ব্যাটিং করা ক্রিকেটারদের বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান ধরা হতো না। কিন্তু ইনিংসের শুরু থেকেই বড় বড় শট খেলে সব ভাবনাই ভুল প্রমাণ করে দেন জয়াসুরিয়া। প্রায় ১৬ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন জয়াসুরিয়া। এ সময়ের মাঝে ১১০ টেস্ট, ৪৪৫ ওয়ানডে এবং ৩১ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এ বাঁহাতি তারকা ব্যাটসম্যান। টেস্টে ৪০.০৭ গড়ে ৬৯৭৩, ওয়ানডেতে ৯১.২০ স্ট্রাইকরেটে ১৩৪৩০ ও কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ১২৯.১৫ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন ৬২৯ রান। তিন ফরম্যাটে সবমিলিয়ে ৩৫২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন মাতারা হারিকেনখ্যাত এ ব্যাটসম্যান। ইনজামামের মতে ক্রিকেটকে বদলে সবশেষ ব্যাটসম্যান হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মি. ৩৬০ খ্যাত এবি ডি ভিলিয়ার্স। তার ব্যাপারে ইনজামাম বলেন, ক্রিকেটকে বদলে দেয়া তৃতীয় খেলোয়াড় হলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। বর্তমানে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে যে গতিময় ক্রিকেট দেখা যায়, তার কৃতিত্ব আমি ডি ভিলিয়ার্সকেই দেবো। আগে ব্যাটসম্যানরা সোজা ব্যাটে শট খেলত। ভিলিয়ার্স শুরু করেছে নিখুঁতভাবে প্যাডল সুইপ, রিভার্স সুইপের প্রচলন। মূলত উইকেটের চারদিকে সমান দক্ষতায় খেলতে পারার কারণেই ডি ভিলিয়ার্সকে বলা হয় মি. ৩৬০ ডিগ্রি ক্রিকেটার। ওয়ানডেতে ১০১.০৯ স্ট্রাইকরেট ও ৫৩.৫০ গড়ে ৯৫৭৭ রান করেছেন তিনি। এছাড়া টেস্টেও ৫০.৬৬ গড়ে করেছেন ৮৭৬৫ রান। টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট ১৩৫.১৬। তিন ফরম্যাট মিলে ডি ভিলিয়ার্স ছক্কা হাঁকিয়েছেন মোট ৩২৮টি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২০ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2SV04ma
February 20, 2020 at 02:27AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন