ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি - সন্দেহ নেই, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের অর্জনটা অনেক বড়। যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জয়। আগামী দুই বছরের জন্য বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের বিশ্বসেরা! তবে তাদের এ সাফল্য যে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে, সেটিও মনে রাখতে হবে সকলের। যতোই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন না কেন আকবর, মাহমুদুল জয়, শাহাদাতরা- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের দূরত্ব যে অনেক, সেটিই যেন দেখা গেলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে। সাভারের বিকেএসপিতে হওয়া এই প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একাদশের হয়ে খেলছেন বিশ্বকাপজয়ী দলের ৬ ক্রিকেটার। এদের মধ্যে রান পাননি অধিনায়ক আকবর আলী, বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান জয় এবং মিডল অর্ডারে আস্থার প্রতীক শাহাদাত হোসেন দীপু। আজ (বুধবার) ম্যাচের দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশন শেষে বিসিবি একাদশের সংগ্রহ ২৬ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ৮৪ রান। এখনও জিম্বাবুয়ের করা ২৯১ রানের চেয়ে ২০৭ রানে পিছিয়ে তারা। যুবা দলের তিন ব্যাটসম্যান মিলে সাকুল্যে করেছেন ৪ রান। মাহমুদুল জয় ১, শাহাদাত ২ ও আকবর আউট হয়েছেন ১ রান করে। তাদের তিনজনকেই নামানো হয়েছিল বিশ্বকাপে করা নিজেদের পজিশনেই। তবে এক ইনিংসে রান পাননি বলেই যে বাতিলের খাতায় ফেলে দিতে হবে যুবা ক্রিকেটারদের- এমনটাও কিন্তু নয়। মূলত এখন থেকেই শুরু হয়ে গেলো আকবর, জয়দের পরবর্তী ধাপে ওঠার প্রক্রিয়া। এতদিন ধরে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে যেভাবে পেয়েছেন সাফল্য, তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি পরিশ্রম করেই ধরতে হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাফল্যের সোপান। এদিকে আকবর, জয়, শাহাদাত রান না পেলেও, দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এবং তানজিদ হাসান তামিম খেলেছেন স্বাভাবিকভাবেই। যদিও ওপেনার তামিমকে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে সাত নম্বরে। তবু মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত বেশ ভালোভাবেই সামলেছেন জিম্বাবুয়ের বোলিং অ্যাটাক। ইনিংস সূচনা করতে মোহাম্মদ নাইম শেখের সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল পারভেজ ইমনকে। বেশিদূর যেতে পারেননি নাইম। ইনিংসের প্রথম বলে ৪ মেরে শুরু করলেও তিনি আউট হয়ে গেছেন সপ্তম ওভারেই। চার্ল মুম্বার বলে আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে ১১ রান করেছেন বাঁহাতি নাইম। অগ্রজ সঙ্গী আউট হয়ে গেলেও নির্ভিক চিত্তে খেলতে থাকেন ইমন। কিন্তু অপরপ্রান্তে দেখতে থাকেন যুব দলে তার সতীর্থদের আসা যাওয়া। তিন নম্বরে আসেন মাহমুদুল জয়, ফিরে যান ৫ বলে ১ রান। পরে চার নম্বরে নামেন শাহাদাত। তিনি বেশ কিছুক্ষণ উইকেটে থাকলেও ২২ বলে ২ রানের বেশি করতে পারেননি। মাত্র ৩৯ রানে তিন ব্যাটসম্যান ফিরে চতুর্থ উইকেটে বিসিবি একাদশের অধিনায়ক আলআমিন জুনিয়রের সঙ্গে ২৯ রানের ছোট জুটি গড়েন ওপেনার ইমন। তিনি আউট হন ২৪তম ওভারে। অফস্পিনার আইন্সলে দলুভুর বলে ক্যাচ দেন ভিক্টর নিয়ুচির হাতে। খেলেন ৪ চার ও ১ ছয়ের মারে ৩৪ রানের ইনিংস। এরপর উইকেটে আসেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর। তার স্থায়িত্বকাল হয় মাত্র পাঁচ বল। এর মধ্যে নিজে ৩ বল খেলে ১ রান করতে সক্ষম হন। যুবা অধিনায়কের বিদায়ের পর আসেন সেই দলের ওপেনার তানজিদ তামিম। বিসিবি একাদশের অধিনায়কের কাটিয়ে দেন বিরতির আগের বাকিটা সময়। এর মধ্যেই মাত্র ৭ বলে একটি করে চার ও ছয়ের মারে ১১ রান করে ফেলেন তামিম। আল আমিন অপরাজিত রয়েছেন ১৫ রান করে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২০ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2vPSJfG
February 20, 2020 at 02:22AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন