ঢাকা, ১৪ ফেব্রুয়ারি - বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ বেক্সিমকোতে নিজের কার্যালয়ে প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো এবং প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন সেখানে মূলত কথা হয়েছে জাতীয় দলের সাম্প্রতিক হতাশাজনক পারফরম্যান্সের ব্যাপারে। বিশ্বকাপের পর থেকে টানা ভরাডুবির মধ্যেই রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ইংল্যান্ডের মাটিতে হওয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় যজ্ঞে মাত্র তিন ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর হেরেছে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, ভারত এবং পাকিস্তানের কাছে। সাফল্য বলতে কেবল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে আর ভারতের মাটিতে একটি টি-টোয়েন্টিতে জয়। ১৯৬৯ সালে উত্তর নাইজেরিয়ার লাসা শহরে প্রথম শনাক্ত করা হয় বলে এ রোগের নাম দেয়া হয়েছে লাসা। ইবোলা ও মারবার্গ ভাইরাসের গোত্রভুক্ত লাসা জ্বর। তবে এর ভয়াবহতা কম। সবশেষ পাকিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই আর রাওয়ালপিন্ডিতে ইনিংস ব্যবধানে হারের পর নড়েচড়ে বসেছেন বিসিবি সভাপতি। একদিনে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপ জয় আর অন্যদিকে জাতীয় দলের লাগাতার ব্যর্থতা- একই বাড়ির দুই ছেলের বিপরীত চিত্র ভাবিয়ে তুলেছেন নাজমুল হাসান পাপনকে। এজন্যই তিনি মূলত জাতীয় দলের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচক নান্নু ও প্রধান কোচ ডোমিঙ্গোর সঙ্গে। তবে শুধু জাতীয় দলের খেলোয়াড় বা টিম ম্যানেজম্যান্ট, বিসিবি সভাপতির ভাবনায় রয়েছে জাতীয় দলের জন্য বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটিও। বলার অপেক্ষা রাখে না, জাতীয় দলের ভালো-মন্দ, সফরসূচি বা অন্যান্য যাবতীয় জিনিস দেখার দায়িত্ব রয়েছে ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির ওপর। এ কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের নেতিবাচক পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির ভূমিকা নিয়েও। অন্যদিকে বয়সভিত্তিক দলগুলোর সকল দায়-দায়িত্ব সামলে থাকে গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি। এ কমিটির চেয়ারম্যান আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে বড় অবদান রয়েছে গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির। ২০১৮ সালের যুব বিশ্বকাপের পর থেকে এবারের বিশ্বকাপের আগপর্যন্ত ৩০টি আনুষ্ঠানিক যুব ওয়ানডে খেলেছেন বাংলাদেশ। সফর করেছে ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ডে। এর বাইরে অনানুষ্ঠানিক ওয়ানডেও ছিলো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। যার ফল বিশ্বকাপে পেয়েছে আকবর আলীর দল। যুব দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে যদি গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি এত বড় সাফল্য এনে দিতে পারে, তাহলে জাতীয় দলের পরীক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত পারফরমারদের নিয়ে ক্রিকেট অপারেশনস কমিটি কেন পারছে না?- আকবরদের বিশ্বকাপ জয়ের পর এ প্রশ্ন বেশ জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডের উচ্চপর্যায়ে। শোনা যাচ্ছে, জাতীয় দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে রদবদল আসতে যাচ্ছে। ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হতে পারে আকরাম খানকে। তার বদলে এ দায়িত্ব নিতে পারেন দেশের প্রথম টেস্টের অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়। তিনি বর্তমানে রয়েছেন এইচপি ইউনিটের চেয়ারম্যান হিসেবে। শুধু ক্রিকেট অপারেশনস কমিটিই নয়, ক্রিকেট ফ্যাসিলিটিজসহ আরও ২-৩টি কমিটির উচ্চপদে রদবদলের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্বশীল একটি সূত্র। এর মধ্যে ফ্যাসিলিটিজের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন ভূঁইয়া বর্তমানে অন্তরীণ। তার জায়গায় অচিরেই নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়ার কথা ভাবছে বিসিবি। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা করা হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের স্কোয়াড। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে পাঁচদিনের ম্যাচটি। এই টেস্টের আগেই স্ট্যান্ডিং কমিটিতে রদবদলের সিদ্ধান্ত চলে আসবে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি কোনোভাবে। তবে পাকিস্তানে দ্বিতীয় দফায় টেস্ট খেলতে যাওয়ার আগে বোর্ডে রদবদল আসতে যাচ্ছে- তা একপ্রকার নিশ্চিত ধরে নেয়া যায়। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৪ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2SH8v4t
February 14, 2020 at 05:08AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন