যেকোনো ফুটবল দলের স্কোয়াড হয় সাধারণত ১৮ জনের। এদের মধ্যে মূল একাদশের ১১ জন ছাড়াও বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামানো যায় ৪ জনকে। কিন্তু বার্সেলোনা কোচ কিকে সেতিয়েনের কাছে মাঠে নামার মতো মোট খেলোয়াড়ই ছিলেন কেবল ১৪ জন। তারকা খেলোয়াড়দের বড় অংশ ইনজুরিতে, একইসঙ্গে ছিলো আবার কার্ডজনিত সমস্যাও। ফলে নাপোলির বিপক্ষে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচটিতে মাঠে নামার আগে সেরা একাদশ সাজানোই কষ্টসাধ্য ছিল বার্সার জন্য। তবে এমন অবস্থায়ও রণে ভঙ্গ দেয়নি সেতিয়েনের শিষ্যরা। ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির ঐতিহ্যবাহী রক্ষণের সঙ্গে ঠিক পেরে না উঠলেও, স্বস্তির ড্র নিয়েই ন্যু ক্যাম্পে ফিরেছেন মেসি-গ্রিজম্যানরা। ম্যাচটি শেষ হয়েছে ১-১ ব্যবধানে। ম্যাচ শেষে ফলাফলটা স্বস্তি, মাঠের সময়টা হতাশাপূর্ণই ছিলো মেসিদের জন্য। নাপোলির রক্ষণ ভাঙার চেষ্টায় বারবার ভুল করেছেন তারা। যে কারণে দেখতে হয়েছে রেফারির কার্ড। হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে লিওনেল মেসি, অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান ও সার্জিও বুসকেটসকে। এছাড়া নাপোলির দুই খেলোয়াড়কেও দেখানো হয়েছে হলুদ কার্ড। একই ম্যাচে দুই বার হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড পেতে হয়েছে বার্সেলোনার অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার আর্তুরো ভিদালকে। লাল কার্ডের কারণে নাপোলির বিপক্ষে ঘরের মাঠে পরের ম্যাচ খেলা হবে না ভিদালের। হলুদ কার্ডের বেঁধে দেয়া সীমা অতিক্রম করায় সে ম্যাচটি খেলতে পারবেন না অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার বুসকেটসও। মঙ্গলবার রাতের ম্যাচটিতে প্রায় পুরোটা সময় ধরেই জমাট রক্ষণ রেখে খেলেছে নাপোলি। তবে প্রতি আক্রমণে উঠে বার্সেলোনার ডিফেন্ডারদের কঠিন সময় উপহার দিতে কোনো ভুল করেনি স্বাগতিকরা। যার ফল তারা পেয়ে যায় ম্যাচের ৩০ মিনিটের সময়। বার্সা ডিফেন্ডার জুনিয়র ফিরপোর ভুলে বল পেয়ে যান পিটার জিলিনিস্কি। তিনি সময় নষ্ট না করে পাস বাড়িয়ে দেন ড্রাইস মার্টিনসের উদ্দেশ্যে। বুলেট গতির শটে টের স্টেগানকে পরাস্ত করেন মার্টিনস। একইসঙ্গে উঠে যান নাপোলির হয়ে সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের তালিকার শীর্ষে। তার সমান ১২১ গোল রয়েছে মারেক হামসিকেরও। লিড থাকায় রক্ষণাত্মক ফুটবলের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয় নাপোলি। দ্বিতীয়ার্ধে তাদের ১০ খেলোয়াড় মিলে শুরু করেন ডিফেন্ডিং। যার ফলে আবার মাঝমাঠে জায়গা পেয়ে বার্সেলোনা। এ সুযোগটিই কাজে লাগায় সেতিয়েনের শিষ্যরা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে নিজেদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়ার মাধ্যমে নেলসন সেমেডুর উদ্দেশ্যে বুদ্ধিদীপ্ত পাস এগিয়ে দেন সার্জিও বুসকেটস। পরে সেমেডুর নিচু করে বাড়িয়ে দেয়া ক্রসে সহজেই বাকি কাজ সারেন গ্রিজম্যান। এ গোলের সুবাদেই ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৬ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2w1nWg9
February 26, 2020 at 04:43AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন