ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি - বসন্তের আগমনের সঙ্গে রাজধানীতে এসে পৌঁছেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে এক টেস্ট, তিন ওয়ানডে আর দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে জিম্বাবুয়ানরা। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি প্রথম টেস্টের আগে সফরকারীরা বিকেএসপিতে একটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে। সেই গা গরমের খেলা শুরু হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। এদিকে সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী পরশু (রোববার) থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় দলের প্রস্তুতি। রোববার ঘোষণা করা হবে টেস্ট স্কোয়াড। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আগে ভাগেই জানিয়ে রেখেছেন, রোববার দল দেব আর ১৮ ফেব্রুয়ারি প্র্যাকটিস শুরু। কেউ কেউ প্রধান নির্বাচকের এ ঘোষণায় খানিক বিস্ময় প্রকাশ করে জানতে চেয়েছিলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু টেস্ট আর ১৬ ফেব্রুয়ারি দল ঘোষণা হলে তো পরদিনই প্র্যাকটিস শুরু করা সম্ভব। তাহলে আবার দুদিন পর কেন প্র্যাকটিস? কারণ একটাই, এখন চলছে বিসিএলের তৃতীয় পর্ব। যেখানে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট দলে থাকা তিন ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান ও নাইম হাসান খেলছেন। এই ম্যাচ শেষ হবে সোমবার। ঐ ম্যাচের পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই শুরু হবে জাতীয় দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প। বিসিএলের খেলা দেখে (শনিবার) সন্ধ্যায় কক্সবাজার থেকে ঢাকা ফিরেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তিনি জানান, আমরা দল এখনও চূড়ান্ত করিনি। কাল সকালে বসে দুপুরের আগেই করে ফেলবো। তারপর বোর্ড প্রধানের অনুমোদন হয়ে গেলে কালই (রোরবার) মিডিয়ার কাছে দল ঘোষণা। প্রশ্ন ছিল, দল কেমন হবে? ঘরের মাঠে স্লো ও লো পিচে স্কোয়াডে কি বাড়তি স্পিনার থাকবে? প্রধান নির্বাচক সরাসরি হ্যাঁ-না কিছু বলেননি। তবে দুজন স্পিনারের দলভুক্তি নিশ্চিত করেছেন। বলা অপেক্ষা রাখে না, দুজনই রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে ছিলেন। একজন হলেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম আর অন্যজন অফব্রেক বোলার নাইম হাসান। প্রধান নির্বাচকের আগে জানানো তথ্য, সৌম্য সরকার আর আল আমিন সম্ভবত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলতে পারবেন না। সৌম্য বিয়ের জন্য ছুটি নিয়েছেন। আর আল আমিনের পিঠে ব্যাথা। জানা গেছে দলে আরও একাধিক ইনজুরি ও ফিটনেসজনিত সমস্যা আছে। তাই দল চূড়ান্ত করার আগে সবার ফিটনেস রিপোর্ট খুটিয়ে দেখা হচ্ছে। দুপুরে বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী ঐ সব ইনজুরি ও ফিটনেস রিপোর্ট নিয়ে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেছিলেন। ডাঃ দেবাশিষ জানান, আমরা সব ক্রিকেটারের ফিটনেসের সর্বশেষ অবস্থা দেখবো। কারো কোনো সমস্যা বা ইনজুরি আছে কি না?- ফিজিও সে সম্পর্কে রিপোর্ট দেবেন। আমরা তার আলোকেই নির্বাচকদের জানাবো কারও কোন ফিটনেস সমস্যা আছে কি না? এদিকে সৌম্য আর আল আমিনের সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট স্কোয়াড থেকে অন্তত আরও একজনের না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যত দূর জানা গেছে, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট দলে থাকার সম্ভাবনা খুব কম। অন্যদিকে মুশফিকুর রহীমও ফিরছেন। তাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জায়গাটা মুশফিকতে দিয়ে ভরাট হবে। এছাড়া ওপেনার তামিম ইকবাল-সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, তাইজুল ইসলাম, নাইম হাসান, আবু জায়েদ রাহী আর এবাদত হোসেনের দলে থাকা একরকম নিশ্চিত। রুবেল হোসেনও হয়তো থেকে যাবেন। বাকি তিনজন কারা? সেটাই দেখার? ঐ তিনজনের ভেতরে একজন অতি অবশ্যই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হবেন। সেটা ইমরুল কায়েসও হতে পারেন। আর একজন করে স্পিনার ও পেসারের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনাও আছে বেশ। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৬ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2V5TYlR
February 16, 2020 at 02:58AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন