কেপটাউন, ২১ ফেব্রুয়ারি - কেপটাউনে স্যান্ডপেপার গেট কাণ্ডের দুই বছর পর আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। সেবারের মতো চলতি সফরের দলেও আছেন স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। স্বাভাবিকভাবেই পুরো সিরিজে বারবার স্মিথ-ওয়ার্নারকে ফিরে ফিরে শুনতে হবে ২০১৮ সালের কেপটাউন টেস্টে করা সেই বল টেম্পারিংয়ের কথা। সেই ঘটনার কারণে নিষেধাজ্ঞা কাঁটিয়ে গতবছরের বিশ্বকাপ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন স্মিথ, ওয়ার্নার, ব্যানক্রফটরা। প্রায় বছর দুয়েক পর এবার আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে যাচ্ছেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে আবার আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি হবে সেই কেপটাউনেই। এ সফরটি যে তাই খুব একটা সহজ হবে না, স্বাগতিক দর্শকদের কাছ থেকে বারবার দুয়ো শুনতে হবে- তা ভালোই জানা অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথের। তবে এসব বিষয় আবার নিজের ব্যাটিংয়ে প্রভাব পড়তে দেন না সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান স্মিথ। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে আসা দারুণ ব্যাপার। শেষবার যখন এসেছিলাম, তখন কিছুই সঠিক ছিলো না। তবে এখানে কিন্তু আমার অনেক মধুর স্মৃতিও রয়েছে। আমি গত সফরের অভিজ্ঞতা পাশ কাঁটিয়ে সামনের দিকে এগুচ্ছি। সে সফরের কিছুই মনে রাখতে চাই না। স্মিথ আরও বলেন, আপনি আপনার সেরা সময়ে এলেও এখানে সবকিছু প্রতিকূল পাবেন। দর্শকরা আপনাকে প্রতিনিয়ত চাপের মধ্যে রাখবে। তবে এটা এখন স্বাভাবিক আমার কাছে। গতবছর ইংল্যান্ডে খেলতে গিয়ে টের পেয়েছি। তাই এর জন্য আমি প্রস্তুত আছি। ব্যাটিংয়ের সময় এটি আমাকে একদমই টলাতে পারে না। তবে ফিল্ডিংয়ের সময় মাঝেমাঝে সমস্যা হয়। তবু এগুলো শুধু কথাই। যা আমাকে তেমন প্রভাবিত করে না। আমি নিজের কাজের দিকেই বেশি মনোযোগী থাকি। এসময় প্রশ্ন ওঠে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির তুলনা নিয়ে। খেলোয়াড়ি জীবনে টি-টোয়েন্টির চেয়ে টেস্টেই বেশি সফল অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক। টেস্ট ক্রিকেটে প্রায় ৬৩ গড়ে করেছেন সাত হাজারের বেশি রান। সে তুলনায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মারকাটারি ব্যাটিংটা তার সঙ্গে খুব একটা যায় না। এর কারণ হিসেবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের বাড়তি চাপকেই উল্লেখ করেছেন স্মিথ। তার মতে টেস্টের চেয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং বেশি কঠিন। স্মিথ বলেন, আমার মনে হয় (টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে) উল্টো বেশি চাপ। টেস্ট ক্রিকেটে আপনি নিজের মতো করে সময় নিয়ে, উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে যা খুশি করতে পারেন। কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আপনাকে শুরু থেকেই ব্যতিব্যস্ত থাকতে হয়, রানের জন্য আগ্রাসী খেলতে হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমিও এ জিনিসটি শিখছি। কীভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে দ্রুত রান তোলা যায়। বিগ ব্যাশে খেলার কারণে আত্মবিশ্বাস কাজ করছে আমার মধ্যে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২১ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/39SnIqa
February 21, 2020 at 02:29AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন