ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি - ক্রিকেট খেলাটাই এমন। প্রথমে মনে হচ্ছিল, তামিম ইকবাল আবার ফর্মে ফিরেছেন। হয়তো সেঞ্চুরি করে ফেলবেন। খেলছিলেন আত্মবিশ্বাস ও আস্থায়। কিন্তু সেঞ্চুুরি বহুদূরে, হাফসেঞ্চুুরির দেখাই পাননি। ফিরে গেছেন ৪১ রানে। তামিম ফিরে যাবার পর মনে হলো, আরেক বাঁহাতি নাজমুল হোসেন শান্ত হয়তো ঠিক তিন অংকে পা রাখবেন। দেখে মনে হচ্ছিল, আত্মবিশ্বাসের প্রতিমূর্তি। একদম স্বচ্ছন্দ ও সাবলীল উইলোবাজি যাকে বলে। ঠান্ডা মাথায় তাড়াহুড়ো না করে ধৈর্য ধরে বলের মেধা ও গুণ বিচার করেই খেলেছেন। যে বল যেখানে খেলতে চেয়েছেন, সেখানেই খেলতে পারছিলেন শান্ত। আলগা বল পেলে মারব আর উইকেট সোজা সমীহ জাগানো বলগুলো ডিফেন্স করব-এই মন্ত্রই যেন নিজের কানে গুঁজে নিয়েছিলেন শান্ত। অনেকটা সময় উইকেটে কাটিয়ে বড় ইনিংস খেলার সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। কিন্তু পঞ্চাশ পেরিয়ে ৭০ এ পৌঁছেও শেষ পর্যন্ত আর ধৈর্য রাখতে পারেননি। দুই ওপেনার তামিম-সাইফ হাসানের পথে হেঁটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন। অযথা অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল তাড়া করে সাজঘরে পা বাড়ান শান্ত (১৩৯ বলে ৭১)। এ দুজন আশা জাগিয়ে হতাশ করলেও এখনো আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলছেন মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহীম। চতুর্থ উইকেটে ৬৮ রানের অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ গড়েছেন এ দুজন। অধিনায়ক মুুমিনুল হক আশির ঘরের দোরগোড়ায় (১২০ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৭৯) আর মুশফিক ব্যাট করছেন ৩২ রানে। আজ দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ পিছিয়ে ২৫ রানে। এই ঘাটতি কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত টাইগাররা কতদূর যাবে, লিড কত হবে? তা অনেকখানি নির্ভর করবে মুশফিক আর মুমিনুলের ওপর। দিনশেষে নাজমুল হোসেন শান্তর কথা শুনে মনে হলো টিম বাংলাদেশেরও আশা, মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহীমের যে কোনো একজন যেন শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকেন। আর সেট একজন ব্যাটসম্যান শেষ অবধি উইকেটে থাকার অর্থ স্কোরবোর্ড বড় হওয়া। বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে থামবে? লিড কত রানের হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, আসলে এটা বলা কঠিন। কারণ কাল আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। এখন মুমিনুল ভাই এবং মুশফিক ভাই অনেক ভালো ব্যাটিং করছেন। আমার মনে হয় তারা দুজন যদি কন্টিনিউ করতে পারেন মানে যত লম্বা করতে পারবেন, আমাদের জন্য ততই ভালো। নিজের ইনিংস নিয়ে শান্তর আক্ষেপ আছে বেশ। তার ধারণা, উইকেট খুব ভালো। ইনিংসটা অনায়াসে বড় করা যেত। তাই কন্ঠে আক্ষেপ, ইনিংস বড় করার সুযোগ অবশ্যই সুযোগ ছিল, যেহেতু উইকেট ভালো ছিল। তবে এরপরেও আমি মনে করি যে যতটুকু ব্যাটিং করেছি আউটটা ছাড়া সেটা ভালো হয়েছে। তবে যেভাবে খেলছিলাম, শুরুটা যেভাবে হয়েছিল, তাতে ইনিংসটা আরও বড় করা উচিত ছিল। ব্যাটিং নিয়ে কি পরিকল্পনা ছিল? জানতে চাওয়া হলে শান্তর জবাব, আমরা প্রথমে চিন্তা করেছিলাম যে উইকেটটা কেমন আচরণ করছে সেই অনুযায়ী খেলব। পরবর্তীতে দেখা গেছে যে উইকেটটা ভালো। সেই অনুযায়ী ব্যাটিং করেছি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৪ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2VbO9TQ
February 24, 2020 at 02:16AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top