ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি- ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। নাঈম হাসানের বোলিংয়ের সরাসরি বোল্ড হওয়ার আগে খেলেছিলেন ১০৭ রানের ইনিংস। তার জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংস সেঞ্চুরি হাঁকান বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হকও। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩২ রান। দুই দলের দুই অধিনায়কের এ দ্বৈরথ চলল দ্বিতীয় ইনিংসেও। এবার জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক আরভিনের হন্তারক হিসেবে আবির্ভূত হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল। তবে বোলিং করে নয়, ফিল্ডিংয়ের মাধ্যমে। যার সুবাদে ব্যাটিং, বোলিংয়ের দুর্দান্ত বাংলাদেশ, আলো ছড়িয়েছে ফিল্ডিংয়েও। মাত্র ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলায় প্রতি আক্রমণের পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন আরভিন। ম্যাচে বাংলাদেশের সফল বোলার নাঈম হাসান থেকে শুরু করে বাকি সব বোলারকেই একের পর এক পাঠাতে থাকেন সীমানা দড়ির ওপারে। যা দ্রুত রান এনে দিচ্ছিল জিম্বাবুয়েকে। সিকান্দার রাজার সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিটাও হয়ে গিয়েছিল ৬০ রানের, তাও মাত্র ১৩ ওভারে। কিন্তু একটু বেশিই তাড়াহুড়ো দেখা গেল আরভিনের ব্যাটিংয়ের। ইনিংসের ৩০তম ওভারের শেষ বলে শর্ট পয়েন্ট অঞ্চল থেকে দ্রুত রান নেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ফিল্ডিং করে বাঁহাতের সরাসরি থ্রোতে ব্যাটিং প্রান্তের স্টাম্প ভেঙে দেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল। ফলে বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক আরভিনের। এ ইনিংসে ৬ চার ও ১ ছয়ের মারে ৪৯ বলে ৪৩ রান করেছেন তিনি। অধিনায়ককে হারিয়ে অনেকটাই চাপে পড়ে গিয়েছে জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১১৪ রান। ইনিংস পরাজয় এড়াতে এখনও ১৮১ রান করতে হবে তাদের। অন্যদিকে দারুণ এক জয় তুলে নিতে বাংলাদেশের প্রয়োজন আর মাত্র ৫টি উইকেট। এর আগে সোমবার শেষ বিকেলের কয়েক ওভার জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিং করানোর লক্ষ্যে বেশ তড়িঘড়ি করেই ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। নিজেদের এ পরিকল্পনায় পুরোপুরি সফল স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে মাত্র ৫ ওভারের জন্য জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে নামিয়ে দুই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের দুটি উইকেটই নিয়েছেন নাইম হাসান। তাও ইনিংসের প্রথম ওভারেই। অন্ধকার নেমে আসা শেরে বাংলায় শেষ বিকেলে আর পেসার ব্যবহার করেননি মুমিনুল। অফস্পিনার নাইমের হাতে তুলে দেন প্রথম ওভার। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন তরুণ নাইম। নিজের ওভারের দ্বিতীয় বলে সরাসরি বোল্ড করে দেন বাঁহাতি ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরেকে। পরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে খেলতে নামা ডোনাল্ড তিরিপানো। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগে নাইমের। যা নাকচ করে দেন ব্রেন্ডন টেলর। আজ দিনের শুরুতে, প্রথম দিনের মতোই টানা ৪ ওভার মেইডেন করেন আবু জায়েদ রাহী ও তাইজুল ইসলাম। দিনের পঞ্চম ওভারে কভার ড্রাইভে চার মেরে প্রথম রান নেন ব্রেন্ডন টেলর। তাইজুলের করা পরের ওভারে অন সাইডে ঠেলে দুই রান নেন ওপেনার কেভিন কাসুজা। সে ওভারেই অবশ্য বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় কাসুজার। ওভারের চতুর্থ বলটিতে খানিক বাড়তি ফ্লাইট দেন তাইজুল। যাতে বিভ্রান্ত হয়ে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স খেলার চেষ্টা করেন কাসুজা। কিন্তু বল লাগে তার ব্যাটের বাইরের কানায়। প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে সহজেই সেটি লুফে নেন মোহাম্মদ মিঠুন। ফলে ৩৪ বলে ১০ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন কাসুজা। নিজের ইনিংসের শুরু থেকেই ধৈর্য নিয়ে ব্যাট করছিলেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞতম ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর। কোনোরকমের ভুল শট না খেলে, একটু একটু করে এগিয়ে নিচ্ছিলেন নিজের ইনিংস। কিন্তু নাঈম হাসান আক্রমণে আসতেই যেন কী হয়ে গেল তার, হারিয়ে বসলেন নিজের উইকেট। দিনের ১১ ওভার যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো আক্রমণে আনা হয় ম্যাচের সফলতম বোলার নাঈম হাসানকে। কোনো ভুল করেননি নাঈম। নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নিয়েছেন টেলরের উইকেট। জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট নিয়ে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন নাঈমই। তাই হয়তো আজ নাঈম আক্রমণে আসতেই প্রতিশোধ নেয়ার ভূত চাপে টেলরের মাথায়। প্রথমে খেলার চেষ্টা করেন রিভার্স সুইপ। যা তার ব্যাট, উইকেট এবং উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো লিটন দাসকে ফাঁকি দিয়ে বাই হিসেবে চলে যায় বাউন্ডারিতে। সেই রিভার্স সুইপ মিস করেও যেনো শান্তি হয়নি টেলরের। তাই দুই বল পরেই উদ্ভ্রান্তের মতো ছক্কা হাঁকানোর আশায় স্লগ সুইপ করেন তিনি। যা ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে উঠে যায় আকাশে। শর্ট স্কয়ার লেগ থেকে সহজেই ক্যাচ লুফে নেন তাইজুল ইসলাম। বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় ৪৭ বলে ১৭ রান করা টেলরের। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২৫ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2SUZO7O
February 25, 2020 at 08:23AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন