ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি - আগের মতো এখন আর বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের ফুটবল লড়াই একপেশে নয়। এক সময় দুই দেশের খেলার আগে ভবিষ্যদ্বাণী শুরু হতো- কয় গোলে জিতবে বাংলাদেশ। হারের সেই ব্যবধান কমিয়ে কমিয়ে মালদ্বীপ এখন মাঠ শাসন করে। উল্টো হিসেব শুরু- মালদ্বীপের জয়ের ব্যবধান কি হবে। কেবল জাতীয় দলেরই নয়, দুই দেশের ক্লাব লড়াইয়েও এখন ফেবারিট থাকে দ্বীপ দেশটি। এএফসি কাপে বাংলাদেশ-মালদ্বীপের ক্লাব লড়াইয়ের পরিসংখ্যানটাই ফুটিয়ে তোলে, দুই দেশের ফুটবলের পার্থক্য। বাংলাদেশের আবাহনী এবং মালদ্বীপের মাজিয়ার মধ্যে গত তিন বছরে যে তিনবার দেখা হয়েছে, সেখানে জয় নেই লাল-সবুজের দেশের ক্লাবের। দুইবার জিতেছে মালদ্বীপের ক্লাবটি, একটি ম্যাচ ড্র। ড্র হয়েছে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ সাক্ষাতটি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের কোয়ালিফাইং প্লে-অফ ম্যাচ ছিল এটি। ঘরের মাঠে আবাহনী পারেনি মালদ্বীপের ক্লাবকে হারাতে। সফলতা এতটুকুই- দুইবার পিছিয়ে পড়ে হারটা এড়াতে (২-২) পেরেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৬ বারের চ্যাম্পিয়নরা। ওই ম্যাচেরই ফিরতি লড়াই আগামীকাল (বুধবার)। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় মালের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। ঢাকা থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে ফেরা এবং আবাহনীর জালে দুই গোল দিয়ে যাওয়া মালদ্বীপের ক্লাবটি ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নামছে ফিরতি লড়াইয়ে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচে অনেক সময় গোল হয়ে উঠে মহামূল্যবান। এমনকি হারা কিংবা ড্র ম্যাচের গোলও। সেই গোলের নাম অ্যাওয়ে গোল। এখানেই বড় সুবিধা মালদ্বীপের ক্লাবটির। ০-০, ১-১ যেভাবেই ড্র হোক, পরের রাউন্ডে উঠে যাবে মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব। কারণ, তাদের ঝুলিতে দুটি অ্যাওয়ে গোল। আবাহনীর সামনে সমীকরণটা এমন- জিতলে পরের রাউন্ড। না জিতলেও চলবে, যদি ৩-৩, ৪-৪ কিংবা তার চেয়ে বেশি গোলে ম্যাচটি ড্র হয়। যদি ২-২ গোলে ড্র হয়? পয়েন্ট, গোলগড়, অ্যাওয়ে গোল সব সমান হবে দুই দলের। তখন ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হবে সরাসরি টাইব্রেকারে। এই অ্যাওয়ে গোলই কিন্তু বেশি ভাবাচ্ছে আবাহনীর পর্তুগিজ কোজ মারিও লেমোসকে। আজ (মঙ্গলবার) মালেতে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আবাহনীর কোচ বলেছেন, মাজিয়া কিঞ্চিত সুবিধাজনক অবস্থানে। কারণ, তাদের হতে আছে দুটি অ্যাওয়ে গোল। এ ম্যাচটি একটু ভিন্ন রকমই হবে। মাজিয়ার খেলা সম্পর্কে আমাদের ধারণাও হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ভালো করতে পারিনি। আমরা নিজেদের ভুলগুলো সংশোধনের চেষ্টা করেছি। মাজিয়া খুবই ভালো দল। তারা মালদ্বীপের চ্যাম্পিয়ন। এ ম্যাচটাও আমাদের জন্য ভালো পরীক্ষা হবে। অধিনায়ক নাবিব নেওয়াজ জীবনও মানছেন তাদের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে স্বাগতিক ক্লাবটি, ওরা একটু ভালো অবস্থানে আছে; কিন্তু আমরা আশা হারাইনি। আমরা আমাদের সেরা খেলার চেষ্টা করবো। সেটা পারলে আমরা ম্যাচ জিততে পারবো। আমার বিশ্বাস, চেষ্টা করলে পারবো। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১২ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2SAZ1HP
February 12, 2020 at 03:13AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন