চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা এলাকায় নিখোঁজের একদিন পর মোসলেমা খাতুন রিমা নামে সাত বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে চরবাগডাঙ্গার একটি বাঁশবাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে রিমাকে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান জানান, সোমবার বিকালে চরবাগডাঙ্গার মানিক হাজিরটোলা গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে রিমা খেলাধুলা করতে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও সে বাড়ি না ফিরলে খুঁজাখুজি শুরু করে স্বজনরা। তার নিখোঁজ সংবাদ মাইকেও ঘোষণা করা হয়। পরে রিমার সন্ধান না পেয়ে সোমবার রাতেই তার বাবা সদর থানায় একটি জিডি করেন। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা একটি বাঁশবাগানে রিমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
রিমা পিতা রুহুল আমীন বলেন, ‘ দুপুরের পর থাইক্যা ছ্যালা পিল্যা খ্যালাইছে মনে কোরাছি, কিন্তু খেলতে বাহিল হোব্যার পর খুইজ্যা না পাইয়্যা বিকেলে কোন সন্ধান না পাইয়্যা চরবাগডাঙ্গার প্রতি যায়গায় মাইকিং কোরি। সকালে ফের মাইকিং আলাকে টাকা পাইস্যা দিয়ে আবার গায়ে গায়ে মাইকিং করাইতে লাগাইনু। কিছুক্ষণ পর হামি হায়াতের মোড়ের দিকে গেনু দেখি যদি কোন অটো আলা লিয়্যা যাইয়্যা থাকে বা সন্ধান দিতে পারে। ওখানে যাইয়্যা ছ্যাল্যাকে কি খুজবো, হামার ভাই ফোন কোইর্যা কোহলো বাড়ি চোইল্যা আসো। তোমার ছাইল্যাকে কে মাইর্যা ফেলেছে’।
এদিকে রিমাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত হলেও ধর্ষণের পর হত্যা কিনা তা পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মাহবুব আলম খান বলেন, ‘শিশুটির শরিরে যে আঘাত রয়েছে তাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর রিমাকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরীক্ষা হলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে দেখছে পুলিশ’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৮-০২-২০
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান জানান, সোমবার বিকালে চরবাগডাঙ্গার মানিক হাজিরটোলা গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে রিমা খেলাধুলা করতে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও সে বাড়ি না ফিরলে খুঁজাখুজি শুরু করে স্বজনরা। তার নিখোঁজ সংবাদ মাইকেও ঘোষণা করা হয়। পরে রিমার সন্ধান না পেয়ে সোমবার রাতেই তার বাবা সদর থানায় একটি জিডি করেন। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা একটি বাঁশবাগানে রিমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
রিমা পিতা রুহুল আমীন বলেন, ‘ দুপুরের পর থাইক্যা ছ্যালা পিল্যা খ্যালাইছে মনে কোরাছি, কিন্তু খেলতে বাহিল হোব্যার পর খুইজ্যা না পাইয়্যা বিকেলে কোন সন্ধান না পাইয়্যা চরবাগডাঙ্গার প্রতি যায়গায় মাইকিং কোরি। সকালে ফের মাইকিং আলাকে টাকা পাইস্যা দিয়ে আবার গায়ে গায়ে মাইকিং করাইতে লাগাইনু। কিছুক্ষণ পর হামি হায়াতের মোড়ের দিকে গেনু দেখি যদি কোন অটো আলা লিয়্যা যাইয়্যা থাকে বা সন্ধান দিতে পারে। ওখানে যাইয়্যা ছ্যাল্যাকে কি খুজবো, হামার ভাই ফোন কোইর্যা কোহলো বাড়ি চোইল্যা আসো। তোমার ছাইল্যাকে কে মাইর্যা ফেলেছে’।
এদিকে রিমাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত হলেও ধর্ষণের পর হত্যা কিনা তা পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মাহবুব আলম খান বলেন, ‘শিশুটির শরিরে যে আঘাত রয়েছে তাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর রিমাকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরীক্ষা হলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে দেখছে পুলিশ’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১৮-০২-২০
from Chapainawabganjnews https://ift.tt/2SAKcGC
February 18, 2020 at 05:11PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন