দিসপুর, ১৮ ফেব্রুয়ারি - ভোটার আইডি কার্ড, জমির রাজস্বের রসিদ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং স্থায়ী অ্যাকাউন্ট নম্বর (প্যান) কার্ডের কোনোটিই নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। কয়েকদশক ধরে ভারতে বসবাস করে এলেও গত আগস্টে এনআরসির পর বিদেশি ক্যাটেগরির অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় এক নারী আসামের গুয়াহাটি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। সোমবার তার সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে এসব কথা বলেছেন হাইকোর্ট। সংবাদমাধ্যম বলছে, আসামে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) বাস্তবায়নের সময় নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে জমি এবং ব্যাংকের কাগজপত্রের নথি গ্রহণ করা হয়েছিল। গত বছরের আগস্টে আসামের চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক তালিকা প্রকাশ হয়। এই তালিকা থেকে সেখানকার প্রায় ১৯ লাখ মানুষ ভারতীয় নাগরিকত্ব হারান। এই ১৯ লাখ মানুষ তখন থেকেই তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দেয়ার চেষ্টা করে আসছেন। বাংলাদেশ সীমান্তের কাছের ভারতীয় এই রাজ্যে শত শত ফরেইনার্স ট্রাইব্যুনালে নাগরিকত্ব তালিকা থেকে বাদ পড়াদের মামলার শুনানি চলছে। এই ট্রাইব্যুনালে হেরে গেলে নাগরিকত্ব হারানোরা দেশটির সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। দেশটির সরকার বলছে, নাগরিকত্ব প্রমাণের আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে বন্দি শিবিরে পাঠানো হবে না। সম্প্রতি গুয়াহাটি হাইকোর্টের দুই বিচারপতি মনোজিৎ ভুঁইয়া ও পার্থিব জ্যোতি সাইকিয়া ২০১৬ সালের একটি মামলার রায়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই সময় আদালত প্যান ও ব্যাংকের নথিকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে না বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে জমির রাজস্বদানের রসিদ কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানান আদালত। জাবেদা বেগম ওরফে জাবেদা খাতুন ফরেইনার্স ট্রাইব্যুনালে বিদেশি হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। তিনি ফরেইনার্স ট্রাইব্যুনালে জমা দিয়েছিলেন অন্তত ১৪টি নথি। এর মধ্যে জাবেদা বেগম, তার বাবা ও স্বামীর পরিচয় উল্লেখ করে গ্রামপ্রধানের দেয়া প্রশংসাপত্রও ছিল। কিন্তু তারপরও ফরেইনার্স ট্রাইব্যুনালের মতো হাইকোর্ট জানান, বিদেশি হিসেবে শনাক্ত হওয়া জাবেদা বেগম তার বাবা-মায়ের কোনও নথি উপস্থাপন করতে পারেননি। হাইকোর্টের বিচারকরা বলেছেন, এই আদালত... ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে, প্যান কার্ড ও ব্যাংকের নথি নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। জমির রাজস্ব দানের রসিদও কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্বের প্রমাণ হতে পারে না। সুতরাং ফরেইনার্স ট্রাইব্যুনালে যেভাবে প্রমাণপত্র সম্পর্কে রায় দেয়া হয়েছে, আমাদের মতে তা সঠিক। বলছে, আদালতের একই বেঞ্চ অন্য একটি মামলার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ভোটার আইডি কার্ডও নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। দেশটির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার বলছে, এনআরসি চূড়ান্ত তালিকায় যাদের নাম নেই; তাদের আইনি সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করা হবে না। এন এইচ, ১৮ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2SVfCGv
February 18, 2020 at 01:41PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top