ঢাকা, ১১ মার্চ - কেউ কেউ বলছেন, মাঝে কিছু সময়ের দুর্বলতা, ঘাটতি, সীমাবদ্ধতা আর অফ-ফর্ম কাটিয়ে টাইগাররা আবার নিজেদের খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে অল্প কিছুদিন নিজেকে হারিয়ে ফেলা তামিম ইকবাল আবার স্বরূপে। পুরনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ইচ্ছেমত শটস খেলা এবং চার ও ছক্কার ফুলঝুরি সাজানো লিটন দাসও অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্বরূপে আবির্ভূত হয়েছেন। মূলতঃ তাদের উইলোর দাপট আর ঔজ্জ্বল্যের সামনেই ম্লান জিম্বাবুয়ে। তারা দুজনই আসলে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি টেস্টে অধিনায়ক মুমিনুল আর মুশফিক টেস্ট-ওয়ানডে দুই ফরম্যাটে রানে ফেরায় পার্থক্যটা একটু বেশি চোখে পড়ছে। সব ম্যাচ একপেশে করে দিচ্ছেন তারা দুজন। বাংলাদেশ জিতছেও হেসে-খেলে, বলে-কয়ে। তারপরও কেউ কেউ এটাকে জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে দুর্বল, কমজোরি আর অনভিজ্ঞ দল বলছেন। যে কারণে টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে টাইগারদের একচ্ছত্র আধিপত্য। ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিংয়ের তিন শাখায় জিম্বাবুইয়ানদের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল মনে হচ্ছে বাংলাদেশকে। কারো কারো মত, সেই অ্যান্ডি ও গ্রান্ট ফ্লাওয়ার, অ্যান্ডি ব্লিগনট, অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেইল, মারে গুডউইন, স্টুয়ার্ট কার্লাইল, গাই হুইটাল, হিথ স্ট্রিক, পল স্ট্যাং আর নেইল জনসনদের সাজানো স্বর্ণ সময়ের জিম্বাবুয়ে নেই অনেক কাল। শ্বেতাঙ্গ নির্ভরতা কমিয়ে কৃষ্ণাঙ্গ আধিক্য আসার পর থেকেই আসলে জিম্বাবুয়ে ঔজ্জ্বল্য হারিয়েছে। আর এ দলটিতে যেহেত অভিজ্ঞ পরিণত ও প্রতিষ্ঠিত পারফরমারদের চেয়ে তরুণ ও অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সংখ্যা বেশি, তাই জিম্বাবুয়ের এ দলটি আসলে শক্তিতেও খাটো। যাই হোক এক ম্যাচের টেস্টে ইনিংসে জেতার পর সিলেটে দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের ব্যর্থতা ও অদুরদর্শিতায় একটু বেকায়দায় পড়লেও বাকি দুই ম্যাচে বড় জয়ে ওয়ানডে সিরিজেও জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। শেরেবাংলায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও জিতেছে স্বচ্ছন্দে। বড় ব্যবধানে। এদিকে প্রতিপক্ষের তুলনায় শক্তি, সামর্থ্যে এগিয়ে থাকা এবং শতভাগ জয়ের রেকর্ড অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশের ড্রেসিং রুম অনেক বেশি চাঙ্গা। ফুরফুরে। টিম ম্যানেজমেন্টও অনেক বেশি নির্ভার। নিশ্চিন্ত। তাই শেষ ম্যাচের আগে একাদশে পরিবর্তন আনার চিন্তা ভাবনাও চলছে। যতদুর জানা গেছে ওপেনার তামিম ইকবালকে আগামীকাল ১১ মার্চ বুধবারের শেষ ম্যাচে বিশ্রাম দেয়ার চিন্তা ভাবনা চলছে। শেষ মুহূর্তে তামিম ইকবালকে বিশ্রামে রেখে তরুণ নাইম শেখকে খেলানো হলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। তামিম টেস্টে এক ইনিংসে রান করেছেন। ওয়ানডে সিরিজে দুই শতরান সহ ৩১০ প্লাস রান করেছেন। প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪১ রানের আত্মবিশ্বাসী ইনিংস। মোটকথা, মাঝে একটু আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি থাকলেও আবার ফর্মে ও রানে ফেরা তামিম এখন অনেকটাই সামর্থ্যের প্রতি আস্থা খুঁজে পেয়েছেন। তাই তামিমকে বিশ্রামে রেখে আরেক ওপেনার নাইম শেখকে একটা সুযোগ দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সত্যিই তামিমকে বিশ্রাম দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে কি না? জানতে চাওয়া হলে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, এখনো ফাইনাল কিছু হয়নি। এ রকম একটা কথাবার্তা হয়েছিল। তবে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর সাথে আমার এ বিষয়ে শেষ কথা হয়নি। তবে রাতে টিম মিটিংয়ে হবে। বোঝাই যাচ্ছে কোচ তামিমকে দেখে ফেলেছেন। দায়িত্ব নেয়ার পর এ সিরিজে তামিমকে প্রথম দেখা হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো খানিক দ্বীধা, সংশয়ে ছিলেন তামিম ইকবালের ব্যাটিং স্টাইল ও ভুমিকা নিয়ে। বোঝা গেছে, তিনি এখন অনেকটাই সন্তুষ্ট। তাই অপর বাঁ-হাতি ওপেনার তরুণ নাইম শেখকেও একটু যাচাই করে দেখার ইচ্ছে আছে তার। তাই নাইম শেখকে কাল বুধবার খেলতে দেখা গেলে অবাক হবার কিছু থাকবেনা। কারণ কোচের মাথায় এখন থেকেই বিশ্ব টি-টোয়েন্টি আসর ঘুরপাক খাচ্ছে। তিনি সব পজিশনেই বিকল্প খুঁজে বেড়াচ্ছেন। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১১ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2TUeFid
March 11, 2020 at 02:46AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন