সিলেট, ০৩ মার্চ - দলে একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার থাকলে ভালো হতো। সাইফউদ্দিন তো ইনজুরির কারণে নেই। ওর মতো কেউ থাকলে আমাদের জন্য কাজটা সহজ হতো- একমাত্র টেস্ট শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের অভাবের কথা বলছিলেন হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। প্রথমবারের মতো টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, পুরোনো পিঠের ব্যথার কারণে সে সুযোগ নিতে পারেননি বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে দীর্ঘ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষে ওয়ানডে সিরিজের দলে ফিরেছেন তিনি। আর তার ফেরাটা প্রথম ম্যাচেই দলের জন্য বয়ে এনেছে স্বস্তি। ব্যাটে-বলে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে দিয়েছেন পরম নির্ভরতা। ব্যাট হাতে দলের চাহিমামাফিক ঝড়ো ক্যামিও, বল হাতে শুরুর স্পেলে জোড়া আঘাত- সবমিলিয়ে সেরার মতো করেই মাঠে ফিরেছেন সাইফ। সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন গত সেপ্টেম্বরের ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। মাঝে দলের সঙ্গে যেতে পারেননি ভারত-পাকিস্তান সিরিজে। ইনজুরি কাটিয়ে খেলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে। সেখানেও ছিল না দিনে ৮ ওভারের বেশি বোলিং করার অনুমতি। এতেই অবশ্য নিজেকে জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত রাখার কাজটা দারুণভাবে সেরেছেন এ পেস বোলিং অলরাউন্ডার। যার প্রমাণ তিনি দিলেন সিরিজের প্রথম ম্যাচেই। যখন ব্যাটিংয়ে নামলেন, তখন ইনিংসের বাকি মাত্র ২৫ বল, দলের সংগ্রহ ২৭৪ রান। শেষের এই ২৫ বলে ৪৭ রান যোগ হয় বাংলাদেশের ইনিংসে। যার পুরো কৃতিত্বই সাইফউদ্দিনের। উইকেটে এসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে না পারার যে সীমাবদ্ধতা-সেটিকে জয় করেছেন দারুণভাবে। স্লগ ওভারের পূর্ণ ব্যবহার করে মাত্র ১৫ বলে খেলেছেন ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংস। শেষ ওভারেই হাঁকিয়েছেন তিনটি বিশাল ছক্কা। সোজা ব্যাটে বড় শট খেলার সামর্থ্যটাও দেখিয়েছেন যথাযথ। ব্যাটিংয়ের শেষটা করেছিলেন যেখানে, পরে বোলিংয়ের শুরুটাও করেন সেখানেই। মোস্তাফিজের সঙ্গে নেন নতুন বল। সাফল্যের দেখা পান নিজের করা চতুর্থ বলেই, ছত্রখান করেন তিনাশে কামুনহাকুমুইয়ের অফস্টাম্প। পাঁচ ওভারের প্রথম স্পেলে ফেরান রেগিস চাকাভাকেও। আক্রমণ থেকে সরার সময় তার বোলিং ফিগার ৫-০-৬-২! পরে দ্বিতীয় স্পেলেও শিকার করেছেন আরেকটি উইকেট। সবমিলিয়ে ম্যাচে ১৫ বলে অপরাজিত ২৮ রান এবং ২২ রানে ৩ উইকেট- সাইফউদ্দিনের ৩৪ ম্যাচের (২১ ওয়ানডে ও ১৩ টি-টোয়েন্টি) আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম দেখা গেল ব্যাট হাতে ২৫+ রান ও বল হাতে ৩ উইকেটের নজির। এর আগে ভিন্ন ৬টি ম্যাচে হয় ২৫ রান কিংবা বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছেন কিন্তু দুইয়ের যুগলবন্দী ঘটেনি একবারও। এবার পাঁচ মাস পর ফিরেই করে দেখালেন সেটি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৩ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2wlmYLS
March 03, 2020 at 03:08AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন