নিজে খেলেন ইতালিতে। সতীর্থ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে নিজের এলাকায় গিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কোয়ারেন্টাইন থেকে বের হয়ে দেখলেন তার নিজের দেশ পর্তুগালও করোনায় বিপর্যস্ত। দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা ২৩ জন। এ পরিস্থিতিতে ঘরে বসে থাকতে পারলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। নিজের বন্ধু এবং এজেন্ট হোর্হে মেন্ডেজকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। করোনায় আক্রান্তদের যথাযত চিকিৎসার্থে দুই বন্ধু মিলে গঠন করলেন ১ মিলিয়ন পাউন্ডের (প্রায় ১০ কোটি টাকা) তহবিল। এই বিশাল অংকের তহবিল নিয়ে পর্তুগালের তিনটি হাসপাতালে নতুন করে তিনটি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) গড়ে তুলছেন রোনালদো এবং মেন্ডেজ। এর মধ্যে দুটি হচ্ছে পর্তুগালের রাজধানী লিজবনে, অন্যটি হচ্ছে পোর্তোয়। এরই মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করে নিজেদের প্রস্তাব এবং এ নিয়ে কাজ করার পূর্ণাঙ্গ রূপরেখাও পেশ করেছেন রোনালদোরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যারপরনাই খুশি, এই কঠিন সময়ে এমন সহযোগিতা পেয়ে। লিসবনের সান্তা মারিয়া হাসাপালের দুটি ওয়ার্ডকে এবং পোর্তোর সান্তা আন্তোনিও হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডকে আইসিইউতে রূপান্তরের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা হয়ে গেছে। দুই শহরের তিনটি আইসিইউতে মোট ৩৫টি বেড তৈরি করা হচ্ছে। সঙ্গে থাকছে ভেন্টিলেটর্সের ব্যবস্থাও। সান্তা মারিয়া হাসপাতালের দুই ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ১০টি করে বেড এবং সান্তা আন্তোনিও হাসপাতালের এক ওয়ার্ডে তৈরি করা হচ্ছে ১৫টি আইসিইউ বেড। বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম প্রকাশ করেছে, রোনালদো এবং তার বন্ধু হোর্হে মেন্ডেজ ইতিমধ্যেই পোর্তোর সাও জাও মেডিক্যাল ইনস্টিটিউশনকে ২ লাখ গাউন এবং তিনটি ভেন্টিলেটর্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সান্তা মারিয়া হাসপাতালের বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল ফেরো স্বীকার করেছেন রোনালদোদের সহায়তার খবর। একই সঙ্গে সান্তা আন্তোনিও হাসপাতালও জানিয়েছে, রোনালদোরা তাদের সঙ্গেও কাজ করছেন। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৫ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2QHnxH2
March 25, 2020 at 06:15AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন