কলকাতা, ১৬ মার্চ - উত্তর কলকাতার রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে দক্ষিণী ছবির সফল নায়িকা পায়েল ঘোষ। টলিউড তাঁকে এখনও সেভাবে না চিনলেও বলিউডে ইতিমধ্যে অভিনয় সেরে ফেলেছেন প্যাটেল কি পাঞ্জাবি শাদি ছবিতে। সেখানে ঋষি কাপুর, পরেশ রাওয়ালের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন পায়েল। বিবেক অগ্নিহোত্রীর পরিচালনায় ফ্রিডম ছবিতেও অভিনয় করেছেন। বিবিসির স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি শার্প পেরিল-এ প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান পায়েল। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অল্প সময়ের মধ্যেই তেলুগু ছবি প্রাণায়াম-এর হাত ধরে দক্ষিণী ছবিতে প্রবেশ করেন। কন্নড় ছবিতে কাজ শুরু করেন বর্ষা ধারে-তে অভিনয়ের মাধ্যমে। করেছেন তামিল ভাষার ছবিও। এর মাঝে ২০১৭-এ বলিউডে পা রাখেন বাংলার এই মেয়ে । পায়েল জানালেন, বাবা ছিলেন খুব কড়া। বাড়ি থেকে বেরনো নিষেধ ছিল। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর হঠাৎ আমার বিয়ের সম্বন্ধ আসতে থাকে। আমি খানিকটা ভয় পেয়ে বাড়ির তুতো ভাইবোনদের সাহায্যে মুম্বইয়ে দিদির বাড়ি পালিয়ে যাই। বললেন, বরাবর সাবলম্বী হওয়ার একটা ইচ্ছে ছিলই। তাই মুম্বইয়ের একটি অ্যাক্টিং স্কুলে ভর্তি হই। এই স্কুলের দৌলতেই বিবিসির স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ আসে। এরপর দক্ষিণী ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পাই। কিন্তু বাবা রাজি হননি। তাই কলকাতায় ফিরে স্কটিশ চার্চ কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সে ভর্তি হয়ে যাই। স্নাতক হওয়ার পর দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করার অনুমতি মেলে। তবে দক্ষিণী ছবি করতে গিয়ে ভাষা নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। জানালেন, সব থেকে বড় সমস্যা ছিল ভাষার। ভাষাগুলো তো আমার কাছে একেবারে হিব্রুর মতো লাগতো। এখনও বলতে পারি না। আজও তাই আমার চরিত্রের জন্য অন্যকে ডাবিং করে দিতে হয়। সেই কারণে দক্ষিণে সেরা অভিনেত্রীর নমিনেশন পাওয়া সত্ত্বেও পুরস্কার পাইনি। বর্তমানে তিনি মুম্বইয়ের বাসিন্দা। মাঝে কিছুদিন শারীরিক অসুস্থতার জন্য কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। এবার হিন্দি স্যাটাায়ার কমেডি ছবি জয় মাতা দির কাজ শুরু করবেন। এছাড়াও হাতে রয়েছে দুটি দক্ষিণী ছবি ও ওয়েব সিরিজের কাজ। বলিউডের উঠতি নায়ক-নায়িকারা যখন করণ জোহর, যশরাজ ফিল্মস, ভাট ক্যাম্পের মতো নামের পিছনে ছোটে তখন পায়েল চান ছোট প্রযোজনায় ভালো বিষয় নির্ভর ছবিতে অভিনয় করতে। তবে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বা বলিউড চিনলেও নিজের শহর, বাংলার মানুষ যে তাঁকে এখনও চেনে না সেকথাও স্বীকার করলেন। আসলে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির কারও সঙ্গে আমার আলাপ নেই। তাই কাজ করতে চাইলেও কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে সেটা আমার অজানা। বাংলায় কাজ তো সব সময়ই করতে চাই। অপর্ণা সেনের পরিচালনায় বাংলা ছবিতে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার পাওয়া আমার স্বপ্ন। স্বপ্ন যতই বড় হোক, দেখতে তো মানা নেই, মনে করেন পায়েল। এখন বাবার কী মত? তিনি কি এখনও চান না মেয়ে অভিনয় করুক? মেয়ের সাফল্যে বাবা আজ খুশি। এই বার সুযোগ পেলে বাবার জন্য আমি অন্তত একটি বাংলা ছবিতে অভিনয় করতে চাই, জানালেন দক্ষিনের এই ব্যাস্ত অভিনেত্রী। সুত্র : আজকাল এন এ/ ১৬ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/33mUDBt
March 16, 2020 at 11:03AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top