কলকাতা, ২১ মার্চ - করোনা রুখতে গোমূত্র পানের পর ফের বিতর্কিত মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। বঙ্গ বিজেপির সভাপতির নয়া মন্তব্য, পিৎজা, বার্গার, পাস্তা যারা খান তারাই বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। পাস্তা খেলে পস্তাতে হবে। নিম পাতার রস খান। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে বিতর্কের পারদ চড়েছে। এর আগে গোমূত্র পান, ঠাকুরের প্রসাদ খেয়ে করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় নিদান দিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ। এবার এই মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। করোনা প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ আরও বলেন, বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে না। বিদেশে থাকা এদেশের নাগরিকদের সেখানে ফেলে রাখতে পারি না। যারা একথা বলছেন তাদের আমলাই তো আদরের ছেলেকে পায়ের তলা দিয়ে ঢুকিয়ে নিয়ে চলে এসেছেন। উল্লেখ্য, শনিবার প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য নয়া ওয়েবসাইট চালু করলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যার নাম দিলীপ ঘোষ ডট অনলাইন। শনিবার ওই ওয়েবসাইট লঞ্চ করেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, নিয়মিত কর্মসূচি থাকবে এই ওয়েবসাইটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কর্মসূচিও থাকবে এই ওয়েবসাইটে। তিনি জানিয়েছেন, ভিনরাজ্য ও অন্যান্য দেশে যে সব বাঙালিরা আছেন তাঁরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। আগামিদিনে রাজ্যের ভিশন, পার্টি নিয়েও পরামর্শ দেবেন তাঁরা। মত আদানপ্রদান হবে। এরপর তিনি আরও বলেন, আমি একটা মনসা পুজোতে গিয়ে বলেছিলাম, নিমের রস, থানকুনির রস খেয়ে আমরা বড় হয়েছি। এটা ভারতীয় সংস্কৃতি, পরম্পরা। এটা খাওয়াতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। তাই এখানে করোনার প্রকোপ কম। ফ্লু, পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে আমরা মোকাবিলা করে এসেছি। এখুনি আমি বলব একটা কথা, যেটা নিয়ে এখুনি সোশ্যাল মিডিয়াতে হাসাহাসি শুরু হয়ে যাবে। পুরাণে ভাইরাসের কথা বলা হয়েছে। শনির যে বছর প্রকোপ বাড়ে তখন এধরনের মহামারি হয়। দুমাস এর প্রকোপ বেশি থাকবে। তিন-চার মাসের মধ্যে ঠান্ডা হয়ে যাবে। ২৫ মার্চ প্রকোপ সবচেয়ে বেশি হবে। আমরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দীর্ঘদিন বিশ্বাস করে এসেছি। টোটকা, জরিবুটি খেয়ে যারা বিশ্বাস করেছে তাঁরা সুস্থ আছে। আমরা সিজন অনুযায়ী খাবার বদলাই। এখন গরম পড়ছে নিমপাতা, নিমফুল ভেজে খাব। অতি আধুনিক হতে গিয়ে ছেলে-মেয়েদের সর্বনাশ করবেন না। গোমূত্রের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, বিশ্বাস করে মরা ভাল অবিশ্বাস করে বাঁচার চেয়ে। প্রতিষেধক বলে মনে হলে অবশ্যই খাওয়া উচিত। কে বলল গোমূত্র খেয়ে অসুস্থ হয়েছে। বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে, কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে। আমিও তো বলছি বাঁচতে কেউ চাইলে খাবে। প্রসঙ্গত, রবিবার বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে শঙ্খধ্বনি করবেন দিলীপ ঘোষ। বড় শাঁখ বাজাবেন। দিলীপের কথায়, শঙ্খধ্বনি জীবাণুমুক্ত করে। ভূমিকম্প হলে শাঁখ বাজিয়ে সতর্ক করা হয়। বিপদে সতর্ক করতে শাঁখ বাজানো হয়। আবার বাড়িতে অতিথি এলে আমরা শাঁখ বাজাই। কাল প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, বাড়িতে শঙ্খধ্বনি, ঘন্টাধ্বনি, উলুধ্বনি দিন। পাশাপাশি, জনতা কারফিউয়ে শামিল হওয়ার জন্য দলের সমস্ত জেলার নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে রাজ্য কমিটির সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। পাশাপাশি জরুরি পরিষেবায় যারা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানাতে শঙ্খ ও উলুধ্বনি দেবে বঙ্গ বিজেপির মহিলা মোর্চা। এমনটাই জানিয়েছেন মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রবিবার জনতা কারফিউ-এর সময় দিল্লিতে বাড়িতেই থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি। সুত্র : সংবাদ প্রতিদিন এন এ/ ২১ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2UrGJda
March 21, 2020 at 03:48PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন