মেলবোর্ন, ০৮ মার্চ - ৮ মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিবসটিকেই নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের জন্য বেছে নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল তথা আইসিসি। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মেঘা ফাইনালে মুখোমুখি বিশ্বের এক নম্বর দল অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দর্শক সমর্থনপুষ্ট দল ভারত। ঘটনাচক্রে আজ ফাইনালে ভারত। অথচ ফাইনালে থাকার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। সেমিফাইনালে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ অনুষ্ঠিত না হওয়ায় গ্রুপ পর্বের ম্যাচের ফলের ওপর ভিত্তি করেই ভারতকে তুলে দেয়া হয় ফাইনালে। স্রেফ সৌভাগ্যের জেরেই বিশ্বকাপের ফাইনালে ঠাঁই করে নেয় হারমানপ্রিত কাউরের দল। অন্যদিকে সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দাঁড়াতেই দেয়নি অস্ট্রেলিয়া। দুর্দান্ত দাপটের সঙ্গে ম্যাচ জিতে তারা উঠেছে ফাইনালে এবং রোববার নারী দিবসে এই টুর্নামেন্টের ৫ম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে লড়াইয়ে নামবে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে (এমসিজি) অনুষ্ঠিত হবে নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল। প্রায় ৯০থেকে ৯৬ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখার আগ্রহটা কত বেশি, তা একটি পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। দর্শকের জায়গা দিতে অতিরিক্ট স্ট্যান্ডিং রুমের টিকিট ছাপতে দিয়েছে আয়োজকরা। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আইসিসি শুভেচ্ছাদূত হয়ে ইতিমধ্যেই ফটোশ্যুট এবং বিভিন্ন পারফর্ম করে ফেলেছেন হার্টথ্রব পপ সঙ্গীতশিল্পী কেটি পেরি। নারী দিবসে ফাইনাল, টসের আগে সংক্ষিপ্ত সমাপনি অনুষ্ঠানেও নিজের গান নিয়ে হাজির হয়ে যাবেন কেটি পেরি। জমজমাট ফাইনাল। পুরোপুরি প্রস্তুত দুই শিবির। একদিকে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া, অন্যদিকে উদীয়মান ভারত। অস্ট্রেলিয়ার সামনে মাথা তুলে দাঁড়াবারও সামর্থ্য নেই ভারতীয়দের। কিন্তু চোটে জর্জরিত অস্ট্রেলিয়ার কপালে চিন্তার ভাঁজ। ভারতের জন্য যে রণ পরিকল্পনা সাজাবে তারা, সে জন্য প্রয়োজনীয় সৈন্য-সামন্ত তো নেই। সংখ্যায় থাকলে কি হবে, যোগ্যতায় তো নেই। এলিসি পেরির ইনজুরিই সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। আন্তর্জাতিক নারী ক্রিকেটে তিনিই সবচেয়ে বড় তারকা। এছাড়া টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ইনজুরির শিকার তায়লা ভ্লায়েমিঙ্ক। সঙ্গে যোগ হলো এলিসি পেরি। নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলার আগেই মাঠের বাইরে তারা ছিটকে গেলেন ইনজুরির কারণে। তবে ম্যাগ ল্যানিংয়ের ওপর ভর করে অস্ট্রেলিয়া অনেকদুর চলে যেতে পারে। অন্যদিকে ভাগ্যের সহায়তায় ফাইনালে উঠে আসা ভারতীয়রা এই ফাইনালে নিশ্চিত আন্ডারডগ। যেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপে কপিল দেবের নেতৃত্বে ফাইনালে উঠে আসা ভারতীয় দল। কপিলের মতই বাজিমাত করতে পারে কি না হারমানপ্রিত কউরের দল, সেটাই দেখার বিষয়। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৮ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/39zjZyf
March 08, 2020 at 01:48AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন