নোয়াখালী, ০৮ মার্চ - অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে স্নায়ুক্ষয়ী ফাইনালে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ দলের ওপেনার যুব টাইগার পারভেজ হোসেন ইমনকে সংবর্ধনা দিয়েছে নোয়াখালীবাসী। শনিবার বিকেলে নোয়াখালী জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে তাঁকে শহীদ ভুল স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা দেয়া হয়। নোয়াখালী জেলা সংস্থার সভাপতি ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাসের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান জাবেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জোতি খিসা চাকমা, মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান চৌধুরী, জেলা যুবলীগের আহবায়ক ইমন ভট্ট, ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তা ও ক্রীড়ানুরাগীরা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইমনের পিতা-মাতা সহপাঠি, আত্মীয়-স্বজনসহ দূর দূরান্ত থেকে নানা বিপুল সংখ্যক ক্রিকেটপ্রেমী অংশগ্রহণ করেন। এর আগে জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন ও জেলা ক্রীড়া লেখক সমিতির পক্ষ থেকে তাকে ফুল, ক্রেস্ট ও আর্থিকভাবে পুরস্কার দেয়া হয়। নিজ জেলায় এত বড় সংবর্ধনা পেয়ে যুব টাইগার পারভেজ হোসেন ইমন আবেগ আপ্লুত। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে নিজের পারফর্মেন্স ধরে রেখে জাতীয় দলে খেলতে চাই। তবে তার আগে নিজেকে প্রতিদিন কিভাবে আপডেট করা যায় সে চেস্টা করে যাবো। নোয়াখালী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদদু পিন্টু বলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীসহ সকলের ঐকান্তিক প্রচেস্টায় ইমনকে আজ এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। তবে পারভেজ হোসেন ইমন এখন নোয়াখালীর নয়, সারা দেশের গর্ব। ভবিষ্যতেও নোয়াখালী জেলা ক্রীড়া সংস্থা এ রকম আরো ইমন তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, বাংলাদেশ যত অর্জন রয়েছে তার পিছনে নোয়াখালীর অবাদন অনস্বীকার্য। আমরা সব ক্ষেত্রে শিক্ষা,খেলাধুলা,অর্থনীতি ও জাতীয় রাজনীতিসহ প্রত্যেকটির জায়গায় নোয়াখালীর পদচারণায় উদীপ্ত। ইমন আমাদের অহংকার। সে আগামীতে আরো ভালো করবে। জাতীয় দলে খেলবে এ প্রত্যাশা আমাদের সকলের। ইমনের কোচ ইফরান সোহাগ জানান, ইমনকে ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে খুঁজে বের করে এনেছেন। তার মতে এ ধরনের প্রতিভা অন্বেশনের মাধ্যমে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা সুপ্ত মেধাবীদের জাতীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব। এ জন্য তাদের পিছনে ট্যালেন্ট হান্টের মতো আরো প্রোগ্রাম দরকার এবং সরকারে আরো পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। এদিকে নোয়াখালীর খুদে ক্রিকেটার যুব টাইগার ইমনকে কাছে পেয়ে খুব আপ্লুত। তারাও ইমনের মতো স্বপ দেখে। আগামীতে দেশ ও দশের মুখ উজ্জ্বল করার । উল্লেখ্য, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ভবানী জীবনপুর গ্রামের সিরাজ বাবুলের ছেলে পারভেজ হোসেন ইমন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ইমন। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৮ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2PXhgqy
March 08, 2020 at 01:45AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন