মুম্বাই, ১৬ এপ্রিল - করোনাভাইরাস হয়তো কারও জন্য শুধুই বন্দীজীবন, কারও জন্য রান্না-খাওয়া আর অবসরের বিনোদন। কিন্তু যারা দিন এনে দিন খান, তারা টের পাচ্ছেন নির্মম বাস্তবতা। করোনার বিস্তার রোধে অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও চলছে লকডাউন। কর্মক্ষেত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানে অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন। কেউবা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় গিয়েছিলেন পেটের দায়ে, যানবাহন না থাকায় শরীরের শেষ শক্তিটুকু দিয়ে হেঁটেই ফিরতে হচ্ছে বাড়িতে। সব কিছুই তো ওই পেটটার জন্য। খিদের জ্বালা তো আর আইন মানে না। কেউ কেউ হয়তো ছোট্ট কুটিরে পেটে পাথর চেপে বসে আছেন, কেউবা চাকরি হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরছেন। হাতে টাকা নেই, খাবার কেনার সাধ্য নেই। শরীরটাও চলছে না। এমনই একজন শ্রমিক খিদের জ্বালায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ শামির বাড়ির সামনে। শামি সেটা ঘরের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গেই বেরিয়ে এসে অসহায় এই মানুষটির সেবায় লেগে যান ভারতীয় পেসার। ইনস্টাগ্রাম লাইভে সতীর্থ ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শামি জানান এই ঘটনাটি। তিনি বলেন, রাজস্থান থেকে সেই শ্রমিক আসছিলেন। ফিরবেন বিহারে। যা লখনউ থেকেও অনেক দূরে। হাতে কোনও টাকা ছিল না। ঘরের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখলাম যে, তিনি খিদেয় অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন আমার বাড়ির দরজার সামনে। আমি খাবার দিলাম। যতটা সম্ভব সাহায্য করলাম। ২৯ বছর বয়সী পেসার আরও বলেন, এখানে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন যারা এই পরিস্থিতিতে খুব অসুবিধায় পড়েছেন। হাইওয়ে আমার বাড়ির কাছেই। দেখতে পাচ্ছি, লোকজন খুব কষ্টে রয়েছেন। সাহায্য করছি যতটা পারি। সবার একটু একটু সাহায্যই হয়তো এই অসহায় মানুষদের বাঁচাতে পারে বড় বিপদ থেকে। করোনার এই দুঃসময়ে জাত-মান ভুলে মানবিকতায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়াই যে সবচেয়ে জরুরি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৬ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3afL7Se
April 16, 2020 at 03:04AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন