ঢাকা, ০৮ এপ্রিল - করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার পরই ক্লাবগুলো তাদের ক্যাম্প বন্ধ করে দিয়েছে। স্থানীয় ফুটবলাররা ফিরে গেছেন যে যার ঘরে। বিদেশি ফুটবলার ও কোচরা আছেন শুধু ক্লাবগুলোর অধীনে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বিদেশি কোচরা বাধ্য হয়ে সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশে। কেউ ক্লাব টেন্টেই থাকছেন, কেউ আবার হোটেলে। স্থানীয় ফুটবলাররা নিজেদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও ব্যতিক্রমও আছেন। এই যেমন জাতীয় দল ও আবাহনীর মিডফিল্ডার সোহেল রানা। চাঁদপুরের এ যুবক ছুটি পেয়েও বাড়ি যাননি। এমনকি ঢাকার আরামবাগে তার ভাইয়ের বাসা থাকলেও সেখানে ওঠেননি। একমাত্র স্থানীয় ফুটবলার হিসেবে তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন আবাহনী ক্লাবে, ধানমন্ডিতে। সোহেল রানার সঙ্গী হিসেবে ক্লাবে আছেন দুই বিদেশি নাইজেরিয়ার সানডে ও হাইতির বেলফোর্ট। এই তিন ফুটবলারকেই এখন পাওয়া যাবে আবাহনী ক্লাবে। পরিবার ছেড়ে এই দুঃসময়ে আবাহনী ক্লাবে কেন? সোহেল রানা জানালেন, তিনি ফিটনেস ধরে রাখার জন্যই ক্লাবে থেকে গেছেন। ক্যাম্প যখন ছুটি হয় তখন আমি চাঁদপুর বাবার কাছে যেতে পারতাম। আমার ভাই ও ভাবী থাকেন ঢাকার আরামবাগে, সেখানেও যেতে পারতাম। কিন্তু যাইনি। কারণ, ক্লাবে থাকলে আমি জিম করার সুযোগ পাবো, বেশি শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে পারবো। তাতে ফিটনেস ধরে রাখতে পারবো। এখানে যেভাবে শৃঙ্খলার মধ্যে থাকি অন্য জায়গায় সেটা হয়তো হতো না। একুট বাইরে যেতে মন চাইতো, ঘুরে আসতে মন চাইতো। হোম কোয়ারেন্টাইন বলতে যা বুঝায় সেটা হতে না। আর নিয়মিত জিমও করার সুযোগ পেতাম না। ক্লাবে থাকায় কোচ জেমি ডে আমাদের যে নির্দেশনা দিচ্ছেন তা পালন করতে পারছি। -বলছিলেন সোহেল রানা। কেউ নেই ক্লাবে। খাওয়া-দাওয়া এবং অন্য কোনো সমস্যা হয় না? সোহেল রানার জবাব, না। কারণ, সানডে ও বেলফোর্ট আছেন। দুইজন স্টাফ আছেন। আমাদের রান্না করেন যে নানীরা তারা ক্লাবের কাছাকাছিই থাকেন। এসে রান্না করে দিয়ে যান। কোনো সমস্যা হয় না। সানডে ও বেলফোর্ট স্টাফদের দিয়ে বাজার করিয়ে এনে নিজেরাই রান্না করে খান। পুরো শৃঙ্খলার মধ্যেই আছি এখানে। সোহেল রানারা দুই ভাই। বড় ভাই সুমন রাজধানীর আরামবাগে থাকেন। ক্রীড়া সামগ্রীর ব্যবসা করেন। চাঁদপুরের গ্রামের বাড়িতে থাকেন তার বাবা। সোহেল রানার মা মারা গেছেন ২০০৮ সালে। জাতীয় দলের কৃতি এ ফুটবলার ঘরোয়া লিগে খেলছেন আবাহনীতে। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৮ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/39SxFU4
April 08, 2020 at 04:49AM
08 Apr 2020

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top