সূত্র জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পদ্মাপাড়ের দূর্গম এলাকা নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হবার পর কামাল হোদা দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় অনুপোস্থিত রয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের হুজরাপুর এলাকার বাড়িতে বসে তিনি নারায়ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। ওই সূত্র জানায়, বিগত আড়াই বছরে তিনি মাত্র ৬ বার ইউনিয়ন পরিযদে গেছেন। দায়িত্ব থাকলেও তিনি গ্রাম আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিতেননা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়া নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষরা বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সর্তক করা হয়। এরপরেও এলাকার মানুষের কাছে যাননি। সরকারি সহায়তা নিজ ইউনিয়নে নিয়ে যাননি। উল্টো প্রভাবশালী মহল দিয়ে বিষয়টি ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রশাসন শক্ত অবস্থান নিলে বিষয়টি নিয়ে রিরূপ প্রতিক্রিয়ার মাঝে শনিবার রাতে তিনি ‘অসুস্থ্যতার’ কারণ উল্লেখ করে পদত্যাগ করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ইউনিয়ন পরিষদে কামাল হোদার দীর্ঘদিন অনুপোস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ কামাল হোদার ছেলে কৌশিক আহম্মদ তাঁর পিতার পদত্যাগ পত্রটি আমার কাছে জমা দেন। ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোমিন শরিফকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে’।
প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া মোমিন শরিফ বলেন, ‘ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউএনও স্যার প্যালেন চেয়ারম্যানের পত্র আমাকে দিয়েছেন। এখন আমি পরিষদকে নিয়ে সরকারের ত্রাণ কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করবো’।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক বলেন, ‘ ঘটনাটি দুঃখজনক। এতোদিন ওই এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম হয়নি। এখন তার পদত্যাগ গ্রহণ করে প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কাল (সোমবার) থেকে পুরোদমে ত্রাণ কার্যক্রম চলবে। আমি নিজে তদাররকি করবো’।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোদার প্রতিক্রিয়ার জন্য তার সেল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদক/ ১২-০৪-২০
from Chapainawabganjnews https://ift.tt/2VgXLLq
April 12, 2020 at 03:56PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন