রিয়াদ, ২৭ এপ্রিল - বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো লকডাউন ও কারফিউ চলছে সৌদি আরবেও। এর মধ্যে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। করোনার স্থবিরতায় বিপাকে পড়েছেন দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। আজ সোমবার দেশটিতে চতুর্থ রোজা পালন হবে। কিন্তু করোনা রোধে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ এবং লকডাউন বলবৎ থাকায় বিপদে পড়েছেন ইফতার সামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রেতারা। রোজায় বাংলাদেশিদের প্রিয় খাবার ছোলা-মুড়ি, চিড়া, পিয়াজু, বেগুনি, জিলাপিসহ অন্যান্যসব খাবার বিক্রেতারা এবার তাদের ব্যবসায় ঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছেন না। মক্কার হালাকা (সবজি মার্কেট) ও নাক্কাসা এলাকায় যেখানে বেশিরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশি জড়ো হতেন, সে এলাকা এখন নির্জীব। নিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবাসী ব্যবসায়ীরা সেখানে বেচা-কেনা করছেন, তাও খুবই সীমিত। ব্যস্ততা অন্যান্য সব বছরগুলোর চেয়ে কম। প্রতিবছর রমজানে মক্কা, জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা, দাম্মাম, কামিস মোসায়েত, তায়েফ, আল কাসিমসহ বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টগুলোতে সাহরি ও ইফতারের জন্য ভীড় লেগে থাকতো। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় সবগুলো এলাকাতেই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা খালি হাতে বসে আছেন। মক্কার হোটেল ব্যবসায়ী নুরুল আমিন বলেন, রমজান মাসে প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত রেস্টুরেন্ট খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু লকডাউন ও কারফিউর কারণে আমাদের দোকানে ক্রেতা শূন্য। কবে এ মাহামারী থেকে মুক্তি পাবো তার নিশ্চয়তা নেই। সবজি মার্কেটের ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে দোকানের ভাড়াটাও তুলতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। ক্রেতা নেই বললেই চলে। করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়ে অনেক প্রবাসী হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছেন। সৌদিতে করোনায় মোট আক্রান্ত আছেন ১৭ হাজার ৫২২ জন। মারা গেছেন ১৩৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৫৭ জন। এন এইচ, ২৭ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2S80juI
April 27, 2020 at 06:10AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন