মুম্বাই, ১৪ এপ্রিল - টানা চার বছর সক্রিয় সাংবাদিকতা করেছেন। খবর পড়তেন টিভিতে। সেখান থেকে বিনোদন দুনিয়া। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের আঙিনায় উজ্জ্বল করেছেন নিজের নাম৷ তিনি জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। র্যাপার বাদশাহর গেন্দা ফুল গানের ভিডিও দিয়ে এখন তিনি বড়লোকের বেটি। শ্রীলঙ্কার মেয়ে জ্যাকলিন বড় হয়েছেন মিশ্র সংস্কৃতিতে। তার জন্ম ১৯৮৫ সালের ১১ অগস্ট, বাহরাইনের মানামায়। তার বাবা এলরয় ফার্নান্ডেজ ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত শ্রীলঙ্কান। পেশায় মিউজিশিয়ান। আশির দশকে অশান্ত শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলেন বাহরাইনে। সেখানে মালয়েশিয়ান বিমানসেবিকা কিমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। তাদের দুই ছেলে এবং দুই মেয়ের মধ্যে সবথেকে ছোট জ্যাকলিন। ১৪ বছর বয়স থেকে বাহরাইনের টেলিভিশনে তিনি সঞ্চালনার কাজ শুরু করেন জ্যাকলিন। তার সাংবাদিক হওয়ার পেছনে আরও এক জনের ভূমিকা ছিল। তিনি তার কাকিমা ফ্রেডরিকা জান্সজ। একটি নামী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ফ্রেডরিকা। ব্যস্ত সাংবাদিকের পাশাপাশি আরও একটা সত্তা ছিল জ্যাকলিনের। ছোট থেকেই তিনি হলিউড তারকাদের ভক্ত ছিলেন। প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন অভিনয়ের। সাংবাদিকতার পাশাপাশি টুকটাক মডেলিংও করতেন। ২০০৬ সালে তিনি মিস শ্রীলঙ্কা প্রতিযোগিতায় জয়ী হন। সে বছর লস অ্যাঞ্জেলসে মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০০৯ সালে ভারতে আসেন মডেলিংয়ের কাজে। সে বছরই সুজয় ঘোষের কাছ থেকে আলাদিন ছবিতে কাজের সুযোগ। রীতেশ দেশমুখের বিপরীতে জ্যাকলিন ছিলেন প্রিন্সেস জেসমিনের ভূমিকায়। ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হলেও ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নেন এই অভিনেত্রী। তার ক্যারিয়ার বর্ণিল হয়ে আছে প্রেমের গল্পেও। ২০০৮ সাল নাগাদ জ্যাকলিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বাহরাইনের যুবরাজ হাসান বিন রসিদ আল খলিফার সঙ্গে। তিন বছর পরে ভেঙে যায় তাদের প্রেম। এরপর ২০১১ সালে হাউজফুল টু ছবির শুটিংয়ে জ্যাকলিনের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক হয় পরিচালক সাজিদ খানের সঙ্গে। এমনও শোনা গিয়েছিল, তারা বিয়ে করতে চলেছেন। কিন্তু দুবছর পরে ভেঙে যায় জ্যাকলিনের এই সম্পর্কও। অনেকেই হয়তো জেনে অবাক হবেন, কলম্বোতে জ্যাকলিনের একটি রেস্তোরাঁ আছে যার নাম কামসূত্র। সিংহলিজ ভাষায় কাম মানে খাবার। সেখান থেকেই নামকরণ। এন এইচ, ১৪ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3a5fQ4C
April 14, 2020 at 04:06AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top