কলকাতা, ১৭ এপ্রিল - লকডাউনই সংক্রমণ রোখার প্রধান এবং শক্তিশালী হাতিয়ার। তা কঠোরভাবে পালন করতে হবে। নইলে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। তা মেনে নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নির্দেশ দিলেন, বাজারে ভিড় চলবে না, মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরনো যাবে না। লকডাউন ঠিকমতো না মানলে নামানো হবে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। বিশেষত রেড জোন-এ। আজ নবান্নে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স থেকে এই হুঁশিয়ারিই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেনে নিলেন, হাওড়া অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা। এখানে বিশেষ নজরদারি দরকার। হাওড়া ও কলকাতার কোথাও কোথাও পূ্র্ণ লকডাউনের কথাও বললেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক হচ্ছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। রোজই নবান্ন থেকে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যবাসীকে ওয়াকিবহাল করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে, বারবারই লকডাউন মেনে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব-সহ সরকারি আধিকারিকরা। এই মুহূর্তে জেলাগুলোর পরিস্থিতি কেমন, তা বিস্তারিত জানতে শুক্রবার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাফ নির্দেশ দেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতেই হবে। মেলামেশা, আড্ডা মারা একেবারে বন্ধ। বাজারগুলিতে স্যানিটাইজার, মাস্ক বাধ্যতামূলক। কেউ মাস্ক না পরে বাজারে গেলে, তাকে যেন ঢুকতে দেওয়া না হয়। একটি দোকানের সামনে ৫ জনের বেশি দাঁড়ানো হবে না। এসব এখন খুব স্ট্রিক্টলি মেনে চলতে হবে। আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে রাজ্যে ২২জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা নিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে ১৬২ জন। আরও ৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চিন্তা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা নিয়েও। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ডেঙ্গিও প্রথম থাবা বসিয়েছিল এই জেলায়। এই মুহূর্তে সীমান্ত লাগোয়া জেলাটি রেড জোন-এ রয়েছে। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে তা যেন অরেঞ্জ জোন-এ চলে আসে, এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়া জেলার জন্য আরও বেশি সতর্কতা প্রয়োজন। তাকে গ্রিন জোন-এ দেখতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও একটি বিষয়ে এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। ফেন্সিং ছাড়া এলাকা দিয়ে রাতের অন্ধকারে যদি কোনও বাইরের লোক প্রবেশ করে, তাহলে তাদের মাধ্যমে সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই পুলিশ সুপারদের তাঁর পরামর্শ, কোথা দিয়ে কে ঢুকছে, তা কড়া নজরে রাখতে হবে। সীমানা পেরিয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। উত্তরবঙ্গে সীমানা ও সীমান্ত লাগোয়া জেলা আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর, কোচবিহারের জেলাশাসকদেরও সতর্ক করে দেন তিনি। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন এন এ/ ১৭ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2wL1UyT
April 17, 2020 at 01:29PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন