ঢাকা, ২৬ এপ্রিল - অধ্যবসায়, কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মনিবেদন- ক্রিকেটার মুশফিকুর রহীমকে অল্প কথায় চেনানোর জন্য এ তিনটি শব্দই যথেষ্ট। দলের অনুশীলনে সবার আগে যাওয়া এবং সবার পরে ফেরা- মুশফিকের নিয়মিত চিত্র। দলের সবচেয়ে পরিশ্রমী ক্রিকেটার হিসেবেও রয়েছে বিশেষ পরিচিতি। অনুশীলনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাটিং না করলে যেন মন ভরে না এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের। মূল ম্যাচের জন্য নিজের প্রস্তুতিও সম্পন্ন মনে হয় না। তাই ঐচ্ছিক বা বাধ্যতামূলক- সবধরনের অনুশীলনেই সবচেয়ে মনোযোগী খেলোয়াড়ের নাম মুশফিক। এখন করোনাভাইরাসের কারণে খেলাধুলা বন্ধ, ক্রিকেটাররা সব গৃহবন্দী। বাইরে গিয়ে অনুশীলন দূরে ফিটনেস ট্রেনিংয়েরও সুযোগ নেই। তাই জাতীয় দলের অন্যান্য ক্রিকেটারদের মতো মুশফিকও নিজের বাসাকেই বানিয়ে নিয়েছেন ছোটখাটো জিম। যেখানে সপ্তাহের সাতদিনই চলছে তার ফিটনেস ধরে রাখার লড়াই। আজ (শনিবার) থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। অনেকেরই অভিযোগ থাকে রমজান মাসে রোজা রেখে স্বাভাবিক রুটিনে চলা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম মুশফিক। নিজের জন্য বানিয়ে নেয়া সাতদিনের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সূচি প্রথম দিন থেকেই অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন মুশফিক। নিজের ঘরের মধ্যে বানানো জিমে রানিং, পুশআপ, সিটআপ, চেস্টআপ, ওয়েট লিফটিং, বাইসেপস, ট্রাইসেপস- সবকিছুই করছেন তিনি। নিজের এ ফিটনেস ট্রেনিংয়ের ভিডিও প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে। সেখানে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন রোজাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় না করাতে। ভিডিওর ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন, রোজা রাখা কোন অজুহাত হতে পারে না। আলহামদুলিল্লাহ্! রোজা রাখুন এবং পরিশ্রম করুন। সবাই নিরাপদ থাকুন, ঘরে থাকুন এবং একে অন্যের জন্য দোয়া করুন। এদিকে করোনার কারণে শুধুই খেলাই নয়, বন্ধ প্রায় গোটা দেশ। ফলে দিন আনি দিন খাই মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপদে। এদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য শুরু থেকেই সচেষ্ট মুশফিকুর রহীম। এরই মধ্যে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে মিলে দান করেছেন নিজের এক মাসের বেতনের অর্ধেক টাকা। এছাড়া নিজ শহর বগুড়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালগুলোতে দিয়েছেন কিছু সুরক্ষা সরঞ্জামাদি। এর বাইরে করোনা দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আরেকটি মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করা ব্যাটটি। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন মুশফিক। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ২৬ এপ্রিল



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2VEknqo
April 26, 2020 at 04:28AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top