নয়াদিল্লী, ২৮ এপ্রিল - করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সারা বিশ্বেই সমস্ত খেলাধুলা বন্ধ। পিছিয়ে দেয়া হয়েছে টোকিও অলিম্পিক। একবছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ এবং কোপা আমেরিকাও। ক্রিকেটের সমস্ত সিরিজ এবং টুর্নামেন্টও বন্ধ। আইপিএল স্থগিত হয়ে গেছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। এমনকি এ বছর আইপিএল হবে কি না তা নিয়েও দেখা দিয়েছে গভীর সংশয়। এরই মধ্যে চারদিক থেকে দাবি উঠেছে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হোক। অনেকেই বলছেন, পিছিয়ে দেয়া হোক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু আইসিসি এখনও এ নিয়ে নির্লিপ্ত। তারা অবস্থা দেখে সামনে পা ফেলতে চাচ্ছে। অর্থ্যাৎ, বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে এটাও বলছে না, এমনকি বলছে না যে পিছিয়ে দেয়া হবে। অথচ, বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে হাতে আছে মাত্র ছয় মাস সময়। আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর মধ্যে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যথাসময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন অবাস্তব বলে মনে করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। শেষ বৃহস্পতিবার আইসিসির সদস্য দেশগুলোর প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিশ্বকাপ নিয়ে ফলপ্রসূ কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি তারা। এরপর বিসিসিআই নিজেদের বক্তব্য জানালো বিশ্বকাপ নিয়ে। তারা জানিযে দিলো, করোনার কারণে সৃষ্ট এই সময়ে বাস্তবিকভাবেই অক্টোবরে বিশ্বকাপ আয়োজন অসম্ভব। আইএএনএসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিসিসিআইর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা বললে এমন কিছু প্রসঙ্গ সামনে চলে আসছে যেগুলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সম্ভব নয়। ওই কর্মকর্তার ভাষায়, সত্যি কথা বলতে, অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারটা বাস্তবে সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। বড় সংখ্যায় দর্শক স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়ে খেলা দেখবে, এসব এই মুহূর্তে ভাবাই যাচ্ছে না। যেখানে আমরা কেউ জানি না আন্তর্জাতিক বিমান পরিসেবা কিংবা বিদেশভ্রমণ কবে থেকে নিরাপদ হবে। কেউ বলছেন জুন তো কেউ আবার বলছেন আরও বেশি। বিদেশ ভ্রমণ শুরু হলে তার পরবর্তী সমীক্ষাই একমাত্র বলতে পারবে করোনা নির্মুল হয়েছে কি না। এরসঙ্গে রয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং আইসিসির ঝুঁকি নেওয়ার বিষয়টি। বিশ্বকাপের মত বৃহৎ একটা ইভেন্টের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের নিশ্চয়তা কী দিতে পারবে এই দুই সংস্থা, প্রশ্ন তুলেছেন বিসিসিআইর ওই কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি থাকছে অন্য ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সম্মতির বিষয়ও। এই সময়টা কী বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে চলা বাকি ক্রিকেট বোর্ডগুলোর জন্য যথেষ্ট। অন্য দেশের ক্রিকেট বোর্ড তখন তাদের দলকে অস্ট্রেলিয়া সফরের অনুমতি দেওয়ার জায়গায় নিশ্চিতভাবে থাকবেন তো? এমনই একাধিক প্রশ্ন রেখে যথাসময়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিপক্ষে একাধিক বিষয় তুলে ধরেছেন বিসিসিআইর ওই কর্মকর্তা। সবশেষে থাকছে স্টেডিয়ামে দর্শকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও। ওই কর্মকর্তার কথায়, করোনার জেরে যে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন ক্রিকেট সমর্থকরা, তাতে আগামী অক্টোবরে বিশ্বকাপ দেখতে যে স্টেডিয়ামে ভিড় করবেন এমন নিশ্চয়তা একেবারেই নেই। স্টেডিয়ামে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখার বিষয়টিও বাতুলতা। এমন সময় এ ক্ষেত্রে একমাত্র বিকল্প ক্লোজ-ডোর বিশ্বকাপ। যে সম্ভাবনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুর চড়াতে শুরু করেছেন ক্রিকেটাররা। অসি ক্রিকেটার ম্যাক্সওয়েল যেমন বলেছেন, আইপিএল ফাঁকা স্টেডিয়ামে তবুও সম্ভব। কিন্তু বিশ্বকাপ কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৮ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2W7v9ET
April 28, 2020 at 05:28AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন