করোনার এই দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। কর্মক্ষেত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের খেয়ে পড়ে বাঁচাই কঠিন হয়ে গেছে। অভাব আর ক্ষুধা একসঙ্গে ঘিরে ধরেছে। মোহাম্মদ সালাহ উঠে এসেছেন মিসরের দরিদ্র এক গ্রাম থেকে। নাগরিগ নামের সেই গ্রামে অনেক মানুষই অভাবগ্রস্থ। এই বিপদের দিনে তাদের জন্য হাজার টন খাবার ও তাজা মাংস পাঠালেন লিভারপুলের এই তারকা ফুটবলার। শুধু খাদ্য সাহায্য নয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই সময়টায় কিভাবে নিরাপদ থাকা যাবে সেই বার্তাও পাঠিয়েছেন সালাহ। ২৫ বছর বয়সী এই লিভারপুল ফরোয়ার্ড লকডাউনে আটকা পড়েছেন যুক্তরাজ্যে। উত্তর আফ্রিকার দেশ মিসরে এখন পর্যন্ত করোনায় ২০৫ জন মারা গেছেন। সালাহর বাবা সালাহ ঘালি বলেন, গ্রামটা সেনিটাইজড করা হয়েছে। সবাইকে ফেস মাস্কও দেয়া হয়েছে যাতে তারা এই সময়টায় করোনা থেকে নিরাপদ থাকতে পারেন। জানা গেছে, সালাহ প্রায় চার লাখ পাউন্ডের বেশি টাকা খরচ করে এই খাবার কিনেছেন। দাতব্য কাজে অংশগ্রহণ অবশ্য তার জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১৮ সালে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি এবং ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বানাতে অনেক টাকা ব্যয় করেন তিনি। বিশ্বজুড়ে নির্যাতিত মুসলিম ভাইদের জন্যও ভীষণ মন কাঁদে সালাহর। সিরিয়া যুদ্ধে এক পা হারানো বালককে তার নিজের এক জোড়া বুট দিয়েছিলেন তিনি। হামিস আর গাসির নামের আট বছরের সেই শিশুটিকে নিজের কীর্তি বিজরিত একটি বাঁধাই করা পোস্টারও উপহার দেন মিসরীয় এই ফুটবল তারকা। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২০ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3ank6N1
April 20, 2020 at 04:21AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন