ঢাকা, ২৪ মে - বাংলাদেশ ক্রিকেট দল লম্বা সময়ের জন্য দেশের বাইরে সফরে গেলে সেখানে সারাক্ষণ শুধু ক্রিকেট নিয়েই আলোচনা হয়, এমনটা নয়। বরং দুই ম্যাচের ফাঁকে কিংবা পুরো সফরে দুই-একদিন বিশ্রামের সময় পাওয়া গেলে, সেটিকে পুরোপুরি নিজেদের মতো উপভোগ করেন মাশরাফি, মুশফিক, তামিমরা। সেক্ষেত্রে খুবই মজার একটি রীতি প্রচলিত রয়েছে বাংলাদেশ দলে। প্রতি সফরেই যেকোন একদিন হোটেলে না খেয়ে, নিজেদের রান্না নিজেরাই করে খান ক্রিকেটাররা। আর এ কাজে বিশেষ পারদর্শী বলে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমকে রাঙা বউ হিসেবে ধরেন দলের বাকি খেলোয়াড়রা। বিশেষ এই রীতির কথা জানা গেছে শনিবার রাতে তামিম ইকবালের ফেসবুক লাইভে। যেখানে ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহীম। এ প্রসঙ্গটা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ দলে আমরা সবসময় একটা জিনিস উপভোগ করি। যখন আমরা দেশের বাইরে যাই, তখন সুযোগ-সুবিধা পেলে যেকোন একদিন নিজেরা রান্না করে খাই। এখন এই কাজের দায়িত্ব নিয়েছেন মুশফিকুর রহীম। তার কাছ থেকেই শুনি। মুশফিক জবাব দেয়ার আগেই পাশ থেকে মাশরাফির ছোট্ট কথা, (মুশফিককে ইঙ্গিত করে) বাংলাদেশ দলের বউ। রাঙা বউ, রাঙা বউ (সবাই একসঙ্গে হাসি)। সবাই থামার পর উত্তর দিতে শুরু করেন মুশফিক, বাইরে এক-দেড় মাসের সফরে গেলে এমনিতেও আমরা একটু অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ি। বাইরের খাওয়া তো আসলে বাসার মতো হয় না। আমি মনে করি যে, এটার কৃতিত্ব অনেকাংশে তোর (তামিম)। কারণ উদ্যোক্তার কাজটা তুই করিস। বাজার-টাজার করা, রান্নাঘর ঠিক করা- এসব কাজ তুই করিস। পরে আমরা বাকিরা সাহায্য করি। এসময় ইমরুল কায়েসকে মূল শেফ হিসেবে জানান মুশফিক। একইসঙ্গে নিজের রান্নার রহস্য হিসেবে স্ত্রীর কথাও স্বীকার করেন তিনি। মুশফিক বলেন, রান্নার দিক থেকে আসলে ইমরুলই মেইন শেফ। আমিও চেষ্টা করি। আমার স্ত্রী হোয়াটসঅ্যাপে সবসময় আমাকে এটা-ওটা পাঠায়, কোনটার পরে কী দিতে হবে সব বলে বলে দেয়। এভাবেই করি আর কি। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে এভাবে রান্না করে খেয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। যেখানে ছিল খিচুড়ি। সেই সফরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের করা ডিম পোচ আর কখনও খেতে চান না তামিম। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৪ মে



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3eb1GkP
May 24, 2020 at 07:43AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top