ইসলামাবাদ, ২৮ মে - কি উপভোগ্যই না ছিল শচিন টেন্ডুুলকার-শোয়েব আখতারের লড়াই। বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানের সঙ্গে বিশ্বের সর্বোচ্চ গতির পেসারের সে লড়াই এখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়কে নাড়া দিয়ে যায়। এই দ্বৈরথে কখনও জিতেছেন শচিন, কখনও বা শোয়েব। তবে শোয়েবের গতির কাছে বড় বড় অনেক ব্যাটসম্যানই পরাস্ত হতেন সে সময়। শচিনও কখনও কখনও পড়েছেন খারাপ পরিস্থিতিতে। পাকিস্তানের সাবেক পেসার মোহাম্মদ আসিফের দাবি, একবার তিনি নিজ চোখেই দেখেছেন, শোয়েবের আগুনে বাউন্সারে চোখ বন্ধ করে ফেলতে হচ্ছিল শচিনের মতো ব্যাটসম্যানকে। ঘটনা ২০০৬ সালের। সেবার পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ খেলতে গিয়েছিল ভারত। করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে প্রথম ওভারেই দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে বসেন ভারতীয় পেসার ইরফান পাঠান। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ২৪৫ রানে। এত অল্প পুঁজি নিয়েও ওই টেস্টে প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল পাকিস্তান। শোয়েব আখতার (২ উইকেট), মোহাম্মদ আসিফ (৪ উইকেট) আর আবদুল রাজ্জাক (৩ উইকেট) মিলে ভারতকে গুটিয়ে দিয়েছিলেন ২৩৮ রানেই। ওই ইনিংসে শোয়েবের চেয়ে বেশি উইকেট পান আসিফ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞায় ক্যারিয়ার শেষ হওয়া পাকিস্তানের সাবেক এই ডানহাতি পেসার জানালেন, শোয়েব সেদিন এমন ভয়ংকর গতিতে বল করেছিলেন, তাতেই মূলত ঘাবড়ে গিয়েছিল ভারত। আসিফ বলেন, ওই ম্যাচের শুরুতে প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক করে বসেন ইরফান পাঠান। আমাদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। নিচের দিকে নেমে কামরান আকমল সেঞ্চুরি করেছিলেন বলেই ২৪০ রানের মতো করতে পেরেছিলাম আমরা। যখন আমরা বোলিং শুরু করি, শোয়েব আখতার প্রচণ্ড গতিতে বল করছিলেন। আমি স্কোয়ার লেগে আম্পায়ারের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছিলাম। সেখান থেকেই দেখলাম, শোয়েবের এক দুইটা বাউন্সারের পর টেন্ডুলকার চোখ বন্ধ করে ফেলছিলেন। ভারতীয়রা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল, আমরা তাদের প্রথম ইনিংসে ২৪০ রানও করতে দেইনি। হারের মুখ থেকে আমরা ওই ম্যাচে জয় নিয়ে ফিরেছিলাম-স্মৃতি আওড়ে বলছিলেন আসিফ। করাচিতে সে টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫৯৯ রান করে ম্যাচটি তারা শেষতক জিতে নেয় ৩৪১ রানের বড় ব্যবধানে। তিন টেস্টের ওই সিরিজটা দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছিল শচিনের। এক ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেননি। সবমিলিয়ে করেছিলেন মাত্র ৬৩ রান। ওই সিরিজে টেনিস এলবো ইনজুরিতেও পড়েন ভারতের মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটসম্যান। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ২৮ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/36yQCeK
May 28, 2020 at 04:51AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন