কলকাতা, ২৬ মে - ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যকে স্বাভাবিক করতে সোমবার ঈদের ছুটির মধ্যেই জরুরি বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব জেলাশাসক এবং প্রত্যেকটি দপ্তরের প্রধান সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সিনিয়র অফিসাররাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেককে নির্দেশ দেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুতের সংযোগ ফেরাতে হবে এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে রাস্তা ভেঙে গিয়েছে তা দ্রুত মেরামতি করতে হবে। সেই সঙ্গে ভয়াবহ এই দুর্যোগ কাটিয়ে রাজ্যকে আবার ছন্দে ফিরিয়ে আনতে যে আড়াই লাখ কর্মী দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন তাঁদের কুর্নিশ জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মী, অফিসার ও পুলিস অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে। তাদের পাশে অবশ্য সেনা, এনডিআরএফ, ওড়িশার দমকল কর্মীরাও আছেন। তাঁদের সবাইকে স্যালুট জানাই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গাছ কাটার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুত ফিরে আসছে, পানীয় জল সরবরাহও শুরু হয়েছে। সবমিলিয়ে রাজ্য ৮০ শতাংশ স্বাভাবিক অবস্থায় চলে এসেছে। সবকটি হাসপাতালে বিদ্যুৎ এসেছে, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, জল সরবরাহ প্রকল্প ও বিদ্যুতের সাব স্টেশনগুলি কাজ করতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সকলের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভা এলাকায় গাছ কাটা সহ বিভিন্ন কাজে পুরসভার ১৭ হাজার কর্মী অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। গোটা রাজ্যে পূর্ত, দমকল, পুলিস, বিপর্যয় মোকাবিলা, জনসাস্থ্য কারিগরি, সেচ, কৃষি, জেলা প্রশাসন মিলিয়ে দুলাখেরও বেশি কর্মী রাস্তায় নেমে দুর্যোগ সামলাচ্ছেন। এদিকে কলকাতায় সোমবার বিকেলেও টালিগঞ্জ, যাদবপুর, গড়িয়া ও বেহালার একটি অংশে বিদ্যুৎ না আসায় সিইএসসিকে একহাত নিয়েছেন কলকাতার পুরসভার প্রশাসক ববি হাকিম। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সব গাছ কাটা হয়ে গিয়েছে। গাছের জন্য বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না এ কথা আর বলা যাবে না। আরও লোক লাগানো উচিত ছিল সিইএসসির। মানুষকে একটু ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে ববি হাকিম বলেন, প্রকৃতির কাছে আমরা অসহায়। এদিন ঈদের বিকেলেও নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব এবং বাড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রী সব জেলাশাসক এবং প্রত্যেক দপ্তরের প্রধান সচিবকে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেন। ভেঙে যাওয়া রাস্তা অবিলম্বে তৈরি করতে বলেন। একইসঙ্গে ভেঙে যাওয়া বাঁধ তৈরির কাজও দ্রুতগতিতে শুরুর কথা বলা হয়। এদিন দিল্লি থেকে ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা রাজ্যের অবস্থা নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন। নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব তাঁকে বর্তমান অবস্থা বিশদে রিপোর্ট করেন। ক্যাবিনেট সচিব জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই কেন্দ্রের একটি দল রাজ্যে আসবে। অন্যদিকে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের সব শহরেই বিদ্যুৎ সংযোগ এসে গিয়েছে। শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে গ্রামীণ এলাকা জলমগ্ন থাকার জন্য কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। একটু তো সময় দিতে হবে, জল না সরলে বিদ্যুৎ কর্মীরা কাজ করবে কী করে। সুত্র : বর্তমান এন এ/ ২৬ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2TB3BHh
May 26, 2020 at 07:15AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন