ঢাকা, ১৮ মে - খেলোয়াড়ি জীবনের মাঝেই ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। যাকে ডাকা হয় নড়াইলের প্রিন্স অব হার্টস বা হৃদয়ের রাজপুত্র নামে, তার জন্য নির্বাচনে জয় পাওয়া তেমন বড় ঘটনা ছিল না। সহজেই নড়াইল-২ এর সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের কারণে শুরুতে তেমন সময় দিতে পারেননি নিজের নির্বাচনী এলাকায়। তবে বিশ্বকাপের পর থেকে বলা চলে নড়াইলের মানুষের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মাশরাফি। বিশেষ করে চলতি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সারাদেশের জন্যই এক রোলমডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন মাশরাফি। নড়াইলে নিজ উদ্যোগে ডোর টু ডোর চিকিৎসা সেবা অর্থাৎ রোগীর ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না, ডাক্তারই যাবেন রোগীর কাছে- এমন সেবা শুরু করেছেন। পুরো নড়াইলে জীবাণুনাশক কক্ষ স্থাপন করেছেন কয়েক জায়গায়। সহজে ধান কাটার জন্য উপহার দিয়েছেন দুইটি অত্যাধুনিক ধান কাটার মেশিন। মাশরাফির এমন সব উদ্যোগের পর আশাবাদী মানুষের মনে ইচ্ছে জাগে, তাকে দেশের আরও বড় কোন দায়িত্বে দেখার। কিন্তু মাশরাফি নিজে এ বিষয়ে কী ভাবেন? শুধু একজন সংসদ সদস্যই থাকবেন নাকি মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হওয়ার ব্যাপারে কিছু ভেবেছেন তিনি? এমন আলোচনা এলেই সবাই চিন্তা করেন মাশরাফি হয়তো ভবিষ্যতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সদস্য হবেন। তাই তার ব্রেসলেটের নিলামের লাইভে খানিক ভিন্ন আঙ্গিকে প্রশ্ন করা হয়েছে, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বাদে অন্য কোন মন্ত্রীত্বের প্রস্তাব পেলে কী করবেন? প্রশ্নটি শুনে মাশরাফি উত্তর দেন নিজের গভীর জীবনদর্শন সহকারে। জানান তিনি কখনওই বেশি দূরের কথা ভাবেন না। বর্তমানে যা আছে সেটিই ঠিকঠাক করার চেষ্টা করেন। আর এ কারণেই এখন তিনি নড়াইল-২ আসনের কাজের ব্যাপারেই চিন্তার করছেন শুধু। মাশরাফি বলেন, আসলে আমার এরকম কোন... আমি কষ্ট করতে পছন্দ করি, তবে কোন আশা নিয়ে নয়। বাংলাদেশ দলে যখন খেলেছি, তখন আমাদের সব কষ্টের সামনে ছিল দলের জয়। কিন্তু যদি ব্যক্তিগত লক্ষ্যের কথা বলেন, তাহলে আমি কখনও অমনভাবে লক্ষ্য ঠিক করি না। নিজ আসনের মানুষদের ভালো রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি, যে জিনিসটা চিন্তার প্রয়োজন নেই, আমার আয়ত্বে নেই, সে জিনিসটা আমি চিন্তা করি না। তাই অমন কোন চিন্তা আমার নেই। আমাকে যে দায়িত্বটুকু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, নড়াইল-২ এর... আমি নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করছি মানুষদের ভাল রাখার। তিনি ইতি টানেন এভাবে, এত কিছু বলার কারণ হলো, আপনি যে প্রশ্নটা করলেন... আমি আসলে এত বড় কিছু, এত দূরে তাকাই না। আমার যেটা আছে, সেটার মধ্য থেকেই কিছু করার চেষ্টা করছি। আর এত বড় কিছু ভাবার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৮ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2zOPcAg
May 18, 2020 at 07:34AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন