কলকাতা, ২৭ জুন- বলিউডের পর সম্প্রতি কলকাতার বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও উঠেছে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ। আর এই অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে যিনি রয়েছেন, তিনি হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার ভারতীয় গণমাধ্যম জি২৪ ঘণ্টার লাইভে এসেছিলেন বুম্বা দা। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়েও কথা বলেন তিনি। স্বজনপ্রীতি নিয়ে সরাসরি উত্তর না দিতে চাইলেও নানান আলোচনায় অনেক কথাই খোলসা করলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, প্রথমত এই বিষয়টি নিয়ে আমি কোনো আলোচনাই করতে চাই না। আমার ক্যারিয়ারের দিকে দেখলে বুঝবে, আমি যখন মেইনস্ট্রিম সিনেমা করতাম, তখনো অনেক নতুন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি। আজ হয়তো তারা স্বনামধন্য। সেই পরিচালকরা প্রথম যখন কাজ শুরু করেছেন, তখন তারা কারোর না কারোর সহযোগী হিসাবে কাজ করতেন। তাদের মধ্যে কেউ হয়তো আমায় এসে বলেছিলেন, তুমি যদি ছবিটা করো, তাহলে প্রযোজক পাই। আমি করেছি। সেখান থেকে তারা অনেকে ব্রেকও পেয়েছেন। পরবর্তীকালে তারাই আবার ভালো পরিচালক হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। যদিও তাদের সব ছবিতেই যে আমি কাজ করেছি, তেমনটাও নয়। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, বাংলা ছবিতে তিন ইয়ারি কথা সিনেমার ভাষায় একটা বড় পরিবর্তন এনেছিল। যেখানে পরম, রুদ্র, নীল ছিল। ওরা তখন অনেক ছোট। সেটাও রানা, সুদেষ্ণার ছবি। আমার ক্যারিয়ারে অটোগ্রাফ অন্যতম ছবি। অথচ যখন অটোগ্রাফ হয়েছিল সৃজিত নতুন। আমার চিত্রনাট্য শুনে মনে হয়েছিল, ও নতুন দর্শক তৈরি করতে চাইছে। তবে ছবিটা যে এতটা ভালো হবে, সেটা হয়তো তখন বুঝিনি। পরবর্তীকাল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সৃজিতের মতো ভালো পরিচালক পেয়েছেন। আর এই যে লকডাউন চলছে, আমার ক্যারিয়ারেও এমন সময় কিন্তু আগেও এসেছে। এমন সময়ও এসেছিল, যেখানে ৬ মাস আমার কাছে কোনো কাজ ছিল না। ওই ৬ মাস আমি নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। পরে আবার ফিরে এসেছি। আবার আমি যখন টেলিভিশনে কাজ করেছি, তখনো এক ঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে কাজ করেছি। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর গোটা ভারতে যে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে,মানসিক অবসাদের প্রসঙ্গ উঠছে সেটা নিয়ে কী বলবে? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা বলেন, যে মানুষটা চলে গেছে, সে আমার ছেলের মতো। কিছু ঘটনার কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়াটাও কঠিন। কোনো ভাষা নেই। এটা সমস্ত ভাবনার ঊর্ধ্বে। আর বাকিটা যেটা চারদিকে চলছে, সেটা নিয়ে আমি সত্যিই কিছু বলতে চাই না। আশা রাখি, একটা সময় মানুষ ঠিক বুঝবেন। যদি আমি কারওর কাছে কোনো অন্যায় করে থাকিও, হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে কোনো অসুবিধা নেই। যদিও আমি জানি, কোনো অন্যায় করিনি। যা কিছু চারদিকে চলছে, আমার মনে হয় বিবেচনা করার প্রয়োজন আছে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে মেন্টর হিসাবেও দেখেছি, যারা অবসাদগ্রস্ত, যারা একটু পিছিয়ে পড়েছেন, তাদের পাশে কি তিনি থাকবেন? এর উত্তরে সরাসরি জবাব না দিয়ে অভিনেতা বলেন, লক্ষ লক্ষ মানুষের মতো আমরাও একটি অদ্ভুত পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রয়েছি। জানি না কী হতে চলেছে। আমার হয়তো ৩৫০ ছবি আছে। অভিজ্ঞতা আছে। তবে যদি কিছু হয়, আমাকেও হয়তো শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। প্রত্যেকটা প্রফেশনই মানুষকে আজকের দিনে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়। আর আমিও এর বাইরে নই। এম এন / ২৭ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2ZjiNv3
June 27, 2020 at 07:42PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন