রোম, ১৬ জুন - দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ইতালিতে পৌঁছেছেন ২৬৫ বাংলাদেশি। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পনের মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের চার্টার্ড ফ্লাইটে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশটির লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে দুপুর প্রায় ১২টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের নিয়ে বিশেষ বিমান রওনা দেয়। বিমানবন্দরে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষ করতে এবং যাত্রীদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহান সিকদার। পরে ইতালি আওয়ামী লীগের নেতা আয়েবার যুগ্ম মহাসচিব এম এ রব মিন্টু, যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এনায়েত করিম, বিশেষ ফ্লাইটের পরিকল্পনাকারী ভিসেন্সার সমাজসেবক মান্নান সর্দার, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অলিউর শামীম, রোম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন হাওলাদার, আওয়ামীলীগ নেতা কাজী বাহাদুরসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত সোবহান সিকদার চার্টার্ড বিমান পরিচালনায় যারা সহযোগিতা করছেন তাদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আরও চার্টার্ড বিমান পরিচালনার জন্য। আগত যাত্রীদের মধ্যে অ্যাডভোকেট আনিসুজ্জামান বলেন, আমরা আনন্দিত যে ২০১৪ সালের পর বাংলাদেশর পতাকাবাহী বিমানে বিরতিহীনভাবে ইতালিতে আসতে পেরে। তিনি প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূতসহ বিমানের এমডির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি সার্বিক সহযোগিতার জন্য মান্নান সর্দারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান। উপস্থিত এম এ রব মিন্টু আশা করেন ইতালি প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের আশা বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা রোম ফ্লাইট চালুর দাবি তা শিগগিরই বাস্তবায়ন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানের যাত্রী ভ্যানিস প্রবাসী নাজমুল ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে বাংলাদেশে আটকা পড়েছিলেন। প্রায় সাত মাস পর ফিরেছেন। তিনি বলেন, বিমানে বিধি মোতাবেক সামাজিক দূরত্ব মেনে আসন বরাদ্দ করা হয়েছে। একই পরিবারের সদস্য না হলে পাশাপাশি আসনে কাউকে বসতে দেওয়া হয়নি। টিকিটের নির্ধারিত মূল্যের বেশি কোনো টাকা দিতে হয়নি। বাংলাদেশ বিমানের চার্টার্ড ফ্লাইটের উদ্যোক্তা ইতালি প্রবাসী মান্না সরদার বলেন, ঢাকায় লকডাউনে আটকা পড়েছেন আমাদের অনেকের পরিবার। সবাইকে ঢাকা থেকে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ বিমানের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলতে হয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষ আটকেপড়া প্রবাসীদের ফেরাতে দফায় দফায় বৈঠক করেন। তারপর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। মান্না সরদার বলেন, আটকেপড়া যাত্রীদের ফেরাতে স্বপ্রণোদিত হয়েই তিনি উদ্যোগ নেন। নানাভাবে ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়ে একক প্রচেষ্টায় ইতালি ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের নাম বিনাখরচে রেজিস্ট্রেশন করেন। এরপর তালিকা বিমানের দফতরে জমা দেন। পরে যাত্রীরা আগে আসলে আগে ভিত্তিতে ঢাকায় বিমানের অফিসে টিকিটের টাকা জমা দেন। আটকেপড়া প্রবাসীদের ইতালি ফেরাতে বিশেষ ফ্লাইটের উদ্যোগ নেওয়ায় তিনি বিমানের সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এন এইচ, ১৬ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2C3oiFY
June 16, 2020 at 03:51AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন