কলকাতা, ২৭ জুন- ২০২১-এর নির্বাচনের আগে ঘর গুছোতে কড়া পদক্ষেপ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনিতে দুর্নীতি ইস্যুতে শুদ্ধিকরণের প্রক্রিয়া তো চলছেই, এরই মধ্যে সংগঠনকে আরও জোরদার করতে অনেক নেতানেত্রীর ডানা ছাঁটাও চলছে। মমতা ঘনিষ্ঠ নেত্রীরও ডানা ছাঁটা হল একুশের মহানির্বাচনের আগে। তৃণমূলকে নতুন করে অঙ্ক কষতে হচ্ছে ২০২১-এর লক্ষ্যে লোকসভা নির্বাচনে এবার উত্তরবঙ্গে সমস্ত আসনে পরাজিত হতে হয়েছে তৃণমূলকে। তারপর উপনির্বাচনে কামব্যাকের ইঙ্গিত দিলেও তৃণমূল অন্তর্দ্বন্দ্বে জেরবার। এই অবস্থায় তৃণমূলকে নতুন করে অঙ্ক কষতে হচ্ছে ২০২১-এর লক্ষ্যে। তা করতে গিয়েই কোপ পড়েছে অর্পিতা ঘোষের ডানহাত-বামহাত বলে পরিচিত দুই নেতার ঘাড়ে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে কড়া তৃণমূল তৃণমূলের পক্ষ থেকে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে। অর্পিতা ঘোষ দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। যার জেরে বিপ্লব মিত্রের মতো সংগঠক বিজেপিতে যোগ দেন। দেবাশিস মজুমদার ও শুভাশিস পালকে কার্যনির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব দেন। মমতা আগেই কড়া অবস্থান নেন হাল ফেরাতে অর্পিতার নেতৃত্বে দেবাশিস ও শুভাশিস সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূলের। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক চলাকলীনই জেলার কার্যনির্বাহী সভাপতি করেন বিধাসক গৌতম দাসকে। তারপর জেলার পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় বৈঠকে দুই নেতাকে সরিয়ে দেন। মমতার নির্দেশ রাজীব নিলেন কড়া পদক্ষেপ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দলের পদ পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করা যাবে না। মনে রাখতে হবে সবার ঊর্ধ্বে দল। দলকে ব্যবহার করে নিজেরা দাপট দেখাবেন, তা চলবে না। মানুষের পাশে থাকতে হবে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। তবেই দলের কাছে তাঁরা ভালো নজরে থাকবেও। ২০২১ নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি ফেরানোর উদ্যোগ এভাবেই ২০২১ নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি ফেরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যে সমস্ত নেতা দলীয় পদ পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন, তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার দলের পদ থেকে অপসারিত হয়ে তাঁরা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেন কি না। এম এন / ২৭ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/383Vucy
June 27, 2020 at 06:53PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top