মুম্বাই, ০৪ জুন - তিন বলে দরকার মাত্র দুই রান। এমন সময়ে কেউ বোকার মতো ছক্কা মারতে যায়? কিন্তু ম্যাচ পরিস্থিতিতে অনেক সময় সহজ জিনিসটিও মাথায় আসে না। যেমনটি আসেনি মুশফিকুর রহীমের। তিনিই জেতার মতো জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন দলকে। তিনিই বোকার মতো ছক্কা মারতে গেলেন আর আউট হলেন। দলও হারল। ব্যাঙ্গালুরুতে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই ম্যাচটি আজও দগদগে ঘা হয়ে আছে টাইগারদের। ভারতীয় ক্রিকেটেও এই ম্যাচটি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। আর হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হলে তো কথাই নেই, ওই ম্যাচটি ঘুরে ফিরে আসবেই। যেমনটা এলো ক্রিকবাজে হার্শা ভোগলের সঙ্গে আলাপচারিতায়। ওই ম্যাচের প্রসঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়া বলেন, সত্যি করে বললে, যা হয়েছে সেটি যে সম্ভব ছিল আমিও ভাবিনি। এমনকি ওই সময় যদি আমি ব্যাটিংয়ে থাকতাম, প্রথমে সিঙ্গেলস নিয়ে জয়টা নিশ্চিত করতাম। তারপর আমার পছন্দের ছক্কা মেরে শেষ করতাম। মুশফিক ওই ছক্কাটা এক বল আগেই মেরে দিতে চেয়েছিলেন। অথচ প্রথম বলে সিঙ্গেলস নিয়ে মাহমুদউল্লাহ তাকে স্ট্রাইক দেবার পর টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়কে হাতের নাগালেই নিয়ে এসেছিলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যানই। এমনকি উদযাপনও করে ফেলেছিলেন তিনি। কেননা তখন শেষ ৩ বলে দরকার মাত্র ২ রান। জয় একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু মুশফিক চতুর্থ বলটি ডিপ মিডউইকেট দিয়ে তুলে মারতে গেলেন আর ক্যাচ হলেন বাউন্ডারিতে। পরের বলে মাহমুদউল্লাহও স্লগ করে বাউন্ডারিতেই ক্যাচ। শেষ বলে রানআউট হয়ে যান মোস্তাফিজুর রহমান। টানা দুই চার মেরে মুশফিক যখন স্ট্রাইকে, হার্দিক তখন কি বুদ্ধি করেছিলেন? ভারতীয় এই পেসার বলেন, আমি ভাবছিলাম সিঙ্গেল নিতে গেলে কোন বলটি সবচেয়ে কঠিন হবে। মনে হলো, ব্যাক অফ দ্য লেহ্ন দিলে সেটা হিট করা বা সিঙ্গেল নেয়া কঠিন হবে। রান বের করতে হলে এই বলে আপনাকে ভালো কিছু করতে হবে। কিন্তু সে বড় শট খেলে বসে, ফলে আউট হয়ে যায়। ব্যাঙ্গালুরুর সেই ম্যাচটি মাত্র ১ রানে জিতে নিয়েছিল ভারত। যে ম্যাচটি হারলে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে পড়ার শঙ্কায় ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৪ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Murqgk
June 04, 2020 at 03:01PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top