মুম্বাই, ৪ জুন- বাংলাদেশের সাবেক লিটল মাস্টার মোহাম্মদ আশরাফুল কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাতকারে বলেছিলেন যে, পত্রিকার পাতায় তার ফিক্সিংয়ের খবর পড়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। আত্মহত্যা করতে চাও ক্রিকেটার তিনি একাই নন। ভারতের তারকা ক্রিকেটার রবিন উত্থাপাও একসময় আত্মহত্যার কথা ভেবেছেন। তবে রবিন উত্থাপা কোনো ফিক্সিংয়ে জড়িত ছিলেন না। তিনি ক্যারিয়ারের একটা সময় প্রবল মানসিক চাপে ভুগছিলেন। এই মানসিক চাপ থেকে বাঁচতেই মাথায় আসে আত্মহত্যার কথা। জাতীয় দলের হয়ে ২০০৬ সালে অভিষিক্ত উত্থাপা ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন। কিন্তু অফসিজনে যখন ক্রিকেট খেলতে পারতেন না তখন মানসিক সমস্যা গ্রাস করছিল তাকে। সেই সময় তার প্রয়োজন ছিল পরামর্শের। রয়্যাল রাজস্থান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উথাপ্পা জানিয়েছেন যে, নিজেকে বুঝতে বাইরে থেকে সাহায্যের প্রয়োজন হয়েছিল। উত্থাপা বলেছেন, ২০০৬ সালে যখন আমার অভিষেক হয়, তখন নিজের সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন ছিলাম না। সেই সময় অনেক কিছু শিখেছি। এখন আমি নিজের সম্পর্কে সচেতন। নিজের ভাবনাচিন্তা ও নিজের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা আছে। কোথাও কখনও ভুল হলে সেটা শুধরে নেওয়া এখন আমার পক্ষে অনেক সহজ। আমার এই মানসিক পরবর্তনের কারণ অতীতে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়া। যখন মানসিক ভাবে হতাশ থাকতাম, আত্মহত্যার চিন্তা আসত। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন আত্মহত্যার বিরু্দ্ধে লড়াই করতাম। স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও বলেন, এমন অনেক সময় গেছে যখন ক্রিকেটের কথা একেবারেই মাথায় আসত না। সবচেয়ে দূরের ভাবনা তখন ছিল ক্রিকেট। ভাবতাম কীভাবে আজকের দিনটা কাটবে। পরের দিনটা কীভাবে আসবে। ভাবতাম আমার জীবনে কী ঘটবে, কোন পথে আমি চলব? যেদিন খেলা থাকত না, সেদিন আর অফসিজনে খুব কঠিন হয়ে পড়ত। মনে হত তিন গোনার পর দৌড়ে গিয়ে ব্যালকনি থেকে লাফ দেব। কিন্তু যে কোনো কারণেই হোক, নিজেকে সামলাতে পেরেছি। তখন ডায়েরি লিখতে শুরু করি। নিজেকে বুঝতে চেষ্টা করি। জীবনে অভিজ্ঞতার জন্য নেতিবাচক বিষয়গুলোর মুখোমুখি হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন উত্থাপা। তিনি আরও বলেছেন, কখনও কখনও নেতিবাচক বিষয়ও যে জীবনে আসা জরুরি, সেটা আমি অনুভব করেছি। আমি জীবনে ভারসাম্যে বিশ্বাসী। জীবনে সবসময় ইতিবাচক থাকা যায় বলে বিশ্বাস করি না। বেড়ে ওঠার জন্য নেতিবাচক অভিজ্ঞতারও প্রয়োজন। আমার সব অভিজ্ঞতাই নিজেকে এই জায়গায় আনতে সাহায্য করেছে। নেতিবাচক অভিজ্ঞতার জন্য আমার মনে কোনো দুঃখ নেই। সূত্র: কালের কন্ঠ আর/০৮:১৪/৪ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3cseP7K
June 04, 2020 at 03:05PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন