করোনাভাইরাসের কারণে ৯০ দিনেরও বেশি বন্ধ থাকার পর অবশেষে ১১ জুন থেকে পূনরায় শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবল লিগ স্প্যানিশ লা লিগা। তবে লিগ শুরুর আগে সবচেয়ে বড় শর্ত ছিল, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে খেলাগুলো। দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা ঠিকই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু বাকি স্বাস্থ্যবিধি মানার অবস্থা যাচ্ছেতাই। লা লিগা শুরুর দ্বিতীয় দিনেই সেই আগের পুরনো অবস্থায় ফিরে এসেছে। গোলের পর একে অপরকে জড়িয়ে ধরা, ম্যাচের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি, অপ্রয়োজনে একে অপরের সান্নিধ্যে আসা- সবই দেখা গেছে লা লিগার ম্যাচে। পানি পানের বিরতি কিংবা মাঠ ত্যাগ করার সময়ও দেখা যাচ্ছে, খেলোয়াড়রা সামাজিক দুরত্ব- কিছুই মানছেন না। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর আগে যে ধরনের অবস্থা ছিল খেলার মাঠগুলোতে, ঠিক একই অবস্থা দেখা গেলো শুক্রবারের ম্যাচগুলোতে। কোনো পরিবর্তন নেই। শুক্রবার লা লিগায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দুটি ম্যাচ। গ্রানাডা ২-১ গোলে হারিয়েছে গেটাফেকে। লেভান্তের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ভ্যালেন্সিয়া। এই দুই ম্যাচে একমাত্র ব্যতিক্রমী দৃশ্য ছিল, মাঠের মধ্যে হার্ড ট্যকলের কারণে ফুটবলার আহত হওয়ার পর স্বাস্থ্যকর্মীদের মাস্ক পরে মাঠে নেমে শশ্রুষা করতে। এছাড়া নিয়মিতই মাঠের মধ্যে দেখা গেছে খেলোয়াড়দের অপ্রয়োজনে একে অপরের সংস্পর্শে আসতে। গোলের পর দেখা গেছে গলাগলি করে উদযাপন করতে। কিংবা হ্যান্ডশেক করতে। এমনকি দুই দলের খেলোয়াড়দের হার্ড ট্যকলের পর ধাক্কাধাক্কি করতেও দেখা গেছে মাঠের মধ্যে। মাঠের বাইরে আরেক চিত্র। রিজার্ভ খেলোয়াড়, পরিবর্তিত হিসেবে ব্যবহার করা খেলোয়াড় এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচরা চেয়ার ফাঁকা এবং দুরত্ব বজায় রেখে বসলেও তাদের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। ম্যাচ শুরুর আগে বল বয়দের নির্দেশ দেয়া ছিল বলকে ডিজইনফেক্টেড করার। ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে সবার জন্যই নির্দেশ ছিল ফেস মাস্ক ব্যবকার করার। কিন্তু সে সব নির্দেশ পালনে যথেষ্ট শৈথিল্য দেখা গেছে। সবচেয়ে বড় পার্থক্য দেখা গেছে টিভি দর্শকদের ক্ষেত্রে। টিভি দর্শকদের জন্য কৃত্রিমভাবে সাউন্ড যোগ করার চেষ্টা করা হয়। যাতে মনে হবে যে, ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে দর্শকে পরিপূর্ণ স্টেডিয়ামে। কিন্তু খুবই বাজে গ্রাফিক্সের কারণে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা সাউন্ড শুনতে ছিল খুবই বাজে। পেশাদার ভিডিও গেমের চেয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত। আবার স্প্যানিশ ফুটবল দর্শকদের জন্য ছিল একরকম দেখার ব্যবস্থা, ইন্টারন্যাশনাল দর্শকদের জন্য ছিল ভিন্ন ব্যবস্থা। ভ্যালেন্সিয়ার গোলস্কোরার রদ্রিগো মোরেনো বলেন, এটা খুবই অদ্ভুত। আমাদেরকে খুব স্লো দৌড়াতে হচ্ছে। আর মানুষ বাড়িতে বসে সেটা উপভোগ করছে। তবুও আশা করি, আমরা শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রেখে সামনে এগিয়ে যেতে পারি। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ১৪ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3fk8LQz
June 14, 2020 at 05:03AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন