করোনাভাইরাস মহামারি বদলে দিয়েছে মানুষের জীবন, বদলে দিয়েছে সারা বিশ্বব্যবস্থাকেই। বদলে যাচ্ছে খেলাধুলাও। বার্সেলোনার অধিনায়ক, আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসিও মনে করছেন, করোনাভাইস পরবর্তী সময়ে মানুষের জীবন মোটেও সমান থাকবে না। ফুটবল তো নয়ই। সব কিছুই বদলে যাবে করোনার পর। করোনাভাইরাসে এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় ৪ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬৯ লাখ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতেও মাঠে গড়িয়েছে জার্মান বুন্দেসলিগা। মাঠে গড়ানোর একেবারে দোরগোড়ায় রয়েছে ইতালি, স্পেন এবং ইংল্যান্ডের ফুটবল লিগগুলো। আগামী সপ্তাহেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং দর্শকহীন স্টেডিয়ামে গড়াবে এই তিন দেশের ফুটবল লিগ। করোনাভাইরাসের কারণে আবার কবে মাঠে দর্শক প্রবেশ করতে পারবে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। শুধু তাই নয়, করোনার কারণে ক্লাব, টুর্নামেন্ট এবং এ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা পড়ে গেছে মারাত্মক অনিশ্চয়তার মুখে। স্প্যানিশ পত্রিকা এল পাইসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মেসি বললেন, আমি মনে করি না যে, ফুটবল আবার ঠিক আগের মত হবে। শুধু ফুটবল কেন, আমি মনে করি না, মানুষের জীবনও ঠিক আগের মত এমন স্বাভাবিক থাকবে। আমাদের সবাইকেই এই কঠিন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। নিজের কথা বলতে গিয়ে মেসি বলেন, আমার ক্ষেত্রে বলতে পারি, আমার অনুভুতিতেই দুঃখ এবং হতাশা ভর করে আছে। কারণ, অনেক প্রিয় মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তারা তাদের প্রিয়জন হারিয়ে ফেলেছেন। খেলাধুলা এবং ফুটবল সবকিছুই করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ- উল্লেখ করে মেসি বলেন, আমি নিশ্চিত, খেলাধুলা এবং ফুটবলও সাধারণভাবে একই কারণে ক্ষতিগ্রস্থ। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে। কারণ, বিশ্ব খেলাধুলার সঙ্গে অনেক কোম্পানি জড়িত, যারা কোনো না কোনোভাবেই এই করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। যার প্রভাব পড়বে খেলাধুলা এবং ফুটবলের ওপর। খেলায় ফেরা নিয়ে মেসির বক্তব্য, পেশাদারির দিক থেকে বলবো, অনুশীলনে ফিরে আসা এবং প্রতিযোগিতা শুরু হওয়া- সবই হচ্ছে। কিন্তু কোনোটাই তো আর আগের মত নেই। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য সত্যিই এক অদ্ভুত পরিস্থিতি। কারণ, আমাদের নিয়মিত যে কাজের অভ্যাসগুলো ছিল, সেগুলো পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য স্পেনের কাতালোনিয়া এবং নিজের দেশ আর্জেন্টিনায় ১০ কোটি টাকার মত দান করেছেন। মেসি বলেন, যারা হাসপাতাল, হেলথ সেন্টার এবং কেয়ার হোমসে করোনা জয় করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছে, তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন। সূত্র : জাগো নিউজ এন এইচ, ০৭ জুন



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/2Y1EiQ4
June 07, 2020 at 04:26AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top