নয়াদিল্লি, ২২ জুন- করোনা লকডাউনের মধ্যে মাঠের ক্রিকেট না থাকলেও ভার্চুয়াল জগতে ক্রিকেটকে যেন বাঁচিয়ে রেখেছেন ভারত-পাকিস্তানের দুতিনজন ক্রিকেটার। এর মধ্যে অন্যতম পাকিস্তানের শোয়েব আখতার এবং ভারতের গৌতম গম্ভীর। ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সংসদ সদস্য গৌতম গম্ভীর নানা ইস্যুতে নিজের মত দিয়ে খবরের শিরোনাম হচ্ছেন এখন প্রায় প্রতিদিন। এবার গৌতম গম্ভীর মন্তব্য করলেন, সৌরভ গাঙ্গুলি নয়, ভারতের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তারকারী ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। তার দাবি, অধিনায়ক হিসেবে দ্রাবিড়ের অর্জনকে ভারতে খুব একটা মূল্যায়ন করা হয় না। একই সঙ্গে ব্যাটসম্যান হিসেবেও তার প্রভাব ছিল সুদুরপ্রসারী। ভারতের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে রাহুল দ্রাবিড়ের নাম। ভারতের অধিনায়কত্বও করেছেন একটা সময়। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ভারতের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। দ্রাবিড়ের নেতৃত্বে প্রথমবারেরমত ২০০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ জয় করে ভারত। ২০০৬-০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটি থেকে টেস্ট জয় করেন আসেন তিনি। এছাড়া কপিল দেব এবং অজিত ওয়াদেকারের পর দ্রাবিড় ছিলেন তৃতীয় অধিনায়ক, যার নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জিতেছিল ভারত, ২০০৭ সালে। শুধু তাই নয়, ২০০৪ সালে পাকিস্তান সফরে গৌরভ গাঙ্গুলির ইনজুরির কারণে প্রথম দুই টেস্টে অধিনায়কত্ব করেন দ্রাবিড়। মুলতানে প্রথম টেস্টে বিতর্কিত এবং তুমুল আলোচিত এক সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দ্বিতীয়দিন শেষ বিকেলের ঠিক আগে পাকিস্তানের কিছু উইকেট তুলে নিতে হঠাৎ ইনিংস ঘোষণা করে বসেন দ্রাবিড়। ভারতের রান ছিল ৬০০। এ সময় শচিন ব্যাট করছিলেন ১৯৪ রান নিয়ে। ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৬ রান দুরে। দ্রাবিড়ের সিদ্ধান্ত দেখে সবাই অবাক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই টেস্ট ভারত ইনিংস ব্যবধানে জয়লাভ করে। ১৯৯৩ সালের পর বিদেশের মাটিতে দ্রাবিড়ের নেতৃত্বেই প্রথম জয় পায় ভারত। ভারতীয় দলের সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীর মনে করেন, ভারতের সবচেয়ে আন্ডাররেটেড ক্রিকেটার ও অধিনায়ক হচ্ছেন দ্রাবিড়। যিনি প্রাপ্য মর্যাদা কখনোই পাননি। রাহুল দ্রাবিড়ের অর্জন নিয়ে গম্ভীর বলেন, অধিনয়াকত্বের তুলনা সব সময় টানা হয় তিন জনের মধ্যে। সৌরভ গাঙ্গুলি, মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বর্তমানে বিরাট কোহলি; কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের উত্থানে যে অধিনায়ক দ্রাবিড়েরও ভূমিকা আছে, সেটা ভুলে গেছে সবাই। আমি আমার ওয়ানডে অভিষেক করেছিলাম দাদার (সৌরভ গাঙ্গুলি) অধিনায়কত্বে। আবার টেস্ট অভিষেক হয়েছিল দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বে। দেখে খুব খারাপ লাগে যে, দ্রাবিড়কে কখনো তার প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া হয়নি। ভারতের সেরা অধিনায়কদের নিয়ে কথা উঠলে সব সময় আমরা সৌরভ, ধোনি, বিরাটদের নিয়ে কথা বলি; কিন্তু দ্রাবিড়ও দুর্ধর্ষ অধিনায়ক ছিল,- স্টার স্পোর্টসের একটি শোতে ভিভিএস লক্ষ্মণকে বলেন গম্ভীর। ২০০৫ সাল থেকে ভারতের অধিনায়কত্ব করে দ্রাবিড় ১০৪ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পেয়েছেন ৫০ ম্যাচে। ২০০৭ বিশ্বকাপেও ভারত খেলতে যায় দ্রাবিড়ের অধিনায়কত্বে। সেই বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর অধিনায়ক দ্রাবিড় বিস্মৃত হয়ে যান। কিন্তু গম্ভীর ভোলেননি জীবনের প্রথম টেস্ট অধিনায়ককে, কী পেয়েছে দ্রাবিড়? দেশের সবচেয়ে আন্ডারেটেড অধিনায়ক সে। অথচ কী না করেছে দলের জন্য। টেস্টে ওপেন করতে বলা হয়েছিল। ওপেন করেছে। উইকেটকিপিং করেছে। ফিনিশারের ভূমিকায় খেলেছে। সঙ্গে যোগ করেছেন, তার মতে সৌরভের চেয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে দ্রাবিড়ের প্রভাব বেশি। তিনি বলেন, ওয়ানডে ক্রিকেটে সৌরভের প্রভাব সব সময় বেশি; কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে আবার দ্রাবিড়ের বেশি। আমি তো বলব, প্রভাবে শচিন টেন্ডুলকারের সমান দ্রাবিড়। চিরকাল শচিনের ছায়ায় থেকে যেতে হয়েছে তাকে। সূত্র: জাগোনিউজ আর/০৮:১৪/২২ জুন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe https://ift.tt/3dqQTlw
June 22, 2020 at 09:29PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন